বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ। ২০২৪ সালের গণহত্যার জন্য সরাসরি তাঁকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হল আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে। সররকার পক্ষের আইনজীবীরা তাঁর বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধ সংগঠন এবং ২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনের সময়ে ধারাবাহিক আক্রমণের মতো অভিযোগ এনেছেন।
একটি তদন্ত রিপোর্ট তুলে ধরে বাংলাদেশের তরফে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে জানানো হয়েছে, হাসিনা সরাসরি দেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে বলপূর্বক দমন নীতি প্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীদের উপর। তিনি এবং তাঁর আওয়ামি লিগ গণহত্যার নেপথ্য কারিগর।
বাংলাদেশের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, 'এই হত্যা পরিকল্পিত।' রবিবার হাসিনার ট্রায়াল লাইভ টেলিকাস্ট হয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে। আদালতে তুলে ধরা হয় অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রমাণ হিসেবে ননা ভিডিও ফুটে এবং বিভিন্ন এজেন্সির মধ্যে গোপন কথোপকথন।
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে গত বছর উত্তাল হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। পথে নেমেছিলেন ছাত্ররা। সেই ঘটনায় মসনদচ্যুত হয়েছিলেন শেখ হাসিনা। জুলাইয়ের গণহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয় মুজিব কন্যাকেই। রবিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হল। শেখ হাসিনার বিচারের কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছে। সকাল সাড়ে ৯টায় কোর্টের প্রসিডিংস বিটিভির মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, আওয়ামি লিগের তরফে বারবার দাবি করা হয়েছে, মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে চিফ প্রসিকিউটর দাবি করেছিলেন, আন্দোলন দমন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ওঠা ৫টি গুরুতর অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। এর মধ্যে রয়েছে খুনের নির্দেশ দেওয়া, প্ররোচণা দেওয়া, উস্কানি দেওয়া। পাশাপাশি রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিবৃতিতেও উল্লেখ করা হয়েছিল, বাংলাদেশে প্রতিবাদী নাগরিকদের উপর ধারাবাহিক হামলা, শতাধিক হত্যার জন্য দায়ী হাসিনা সরকার।