শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণে মরিয়া ইউনূস সরকার। মঙ্গলবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দফতরের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে, হাসিনার প্রত্যর্পণই এখন সরকারের মূল অগ্রাধিকার। উল্লেখ্য, হাসিনাকে ফেরাতে এর আগে ভারতের কাছে আর্জি পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে এখনও ভারতেই রয়েছেন হাসিনা। এমনকী, হাসিনার ভারতে থাকার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে নয়াদিল্লি। এই প্রেক্ষাপটে হাসিনাকে ফেরাতে যে তারা অনড়, তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিল ইউনূস সরকার।
ইউনূস সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, হাসিনাকে ফেরাতে পুরোদমে চেষ্টা চালিয়ে যাবে ঢাকা। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে ভারতের একটি সংবাদমাধ্যম সমীক্ষা করেছিল। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, ৫৫ শতাংশ ভারতীয় চায় হাসিনাকে ফেরানো হোক। আর ১৬-১৭ শতাংশ মানুষ চান হাসিনাকে অন্য দেশে পাঠানো হোক।
এর আগে, বাংলাদেশে বিদেশ মন্ত্রকের এক মুখপাত্র বলেছিলেন, 'বাংলাদেশি নাগরিক হিসাবে শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে আমরা অনুরোধ করেছি। ভারতে তাঁর কী স্টেটাস, তার সঙ্গে আমাদের অনুরোধের কোনও সম্পর্ক নেই। এটা আমাদের বিবেচনার বিষয় নয়।'
গত বছর ছাত্র আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশে পতন হয় হাসিনা সরকারের। গত ৫ অগাস্ট তড়িঘড়ি করে দেশ ছাড়েন হাসিনা। আশ্রয় নেন ভারতে। সেই থেকে ভারতেই রয়েছেন হাসিনা। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে সে দেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গত মঙ্গলবার ইউনূস সরকার জানায় যে, হাসিনা এবং আরও ৯৬ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। তার পর পরই ভারতে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়।
অন্য দিকে, কিছু দিন আগে, ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাসিনার বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় বাংলাদেশে। শেখ মুজিবুর রহমানের ৩২ ধানমন্ডির বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হাসিনার সুধা সদনের বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।