ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে বুধবার রাত থেকে যে তাণ্ডবলীলা শুরু হয়েছে, আজ অর্থাত্ বৃহস্পতিবারও তা অব্যাহত। ইতিমধ্যেই বাড়ির একটি বড় অংশ একেবারে গুঁড়িয়ে দিয়েছে উন্মত্ত মৌলবাদীদের দল। সঙ্গে উল্লাসও চলছে। এহেন বর্বরতায় মুখ খুললেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তুললেন পাকিস্তান সেনার প্রসঙ্গ।
পাকিস্তানি সেনাও এই বাড়িতে হাত দেয়নি
শেখ মুজিবের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় হাসিনা বললেন, 'এমনকী পাকিস্তানি সেনাও এই বাড়িতে হাত দেয়নি। ভেঙে দেয়নি বা আগুন ধরিয়ে দেয়নি। বাংলাদেশে ধ্বংসের খেলা চলছে। রক্তের খেলা চলছে। যে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে রোল মডেল ছিল, তা জঙ্গি দেশে পরিণত হয়েছে।' ঢাকায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি প্রসঙ্গে হাসিনার আক্ষেপ, 'শেখ মুজিবুরকে গ্রেফতার করেছিল পাকিস্তান সেনা। স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে তিনি রাষ্ট্রপতি ভবন বা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ওঠেননি তিনি। ধানমন্ডির বাড়িতেই থাকতে শুরু করেন ও সেখান থেকেই দেশ গড়ে তোলেন। এই বাড়িতেই শেখ মুজিবকে খুন করা হয়েছিল, আমার গোটা পরিবারকে হত্যা করা হয়েছিল। আমি ও আমার বোন বিদেশে থাকায় সেদিন বেঁচে গিয়েছিলাম।'
ইউনূসের দুর্নীতি সম্পর্কেও পর্দাফাঁস করে দেন হাসিনা
বুধবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে মহম্মদ ইউনূসের দুর্নীতি সম্পর্কেও পর্দাফাঁস করে দেন হাসিনা। বলেন, '৯০-র দশকে গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের বেতন ছিল ৬ হাজার টাকা। ১৯৯৬ সালে আমি ক্ষমতায় আসার পর এই গ্রামীণ ব্যাঙ্কে ৪০০ কোটি টাকা দিয়ে সংস্কার করি। ডঃ ইউনূসকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন, লাভের অঙ্ক গ্রামীণ ব্যাঙ্কে যাবে। তা যায়নি। সেই অর্থ আত্নসাৎ করেছে। আর্থিক তছরুপ করেছে।'
হাসিনার আত্মীয়দের বাড়িতেও চলছে ভাঙচুর
বুধবার রাত থেকেই বাংলাদেশে ধ্বংসলীলা শুরু করেছে মৌলবাদীরা। শেখ মুজিবের ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে রাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তারপর বুলডোজার এনে গুঁড়িয়ে ফেলার কাজ শুরু করে উন্মত্ত কিছু জনতা। বাংলাদেশের জাতির জনকের বাড়ি ভেঙে পৈশাচিক উল্লাসে মেতে উঠেছে মৌলবাদীরা। শুধু শেখ মুজিবুরের বাড়ি ভেঙেই তারা শান্ত হয়নি, খুলনায় শেখ হাসিনার আত্মীয়দের বাড়িতেও চলছে ভাঙচুর। একেবারে অরাজকতার তুঙ্গে এই মুহূর্তে বাংলাদেশ।