শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি) জ্বলছে বাংলাদেশ। গত কয়েকদিন ধরে ফের অশান্তি সেই দেশে। একাধিক খুন হয়েছে। মৌলবাদীরা দখল নিয়েছে রাজপথের। এই অব্যবস্থার জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বতীকালীন প্রধান মহম্মদ ইউনুসকে দায়ি করলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর দাবি, ইউনুসই চরমপন্থীদের হাতে দেশটা ছেড়ে দিয়েছেন। তার পরিণতি সাধারণ মানুষকে ভোগ করতে হচ্ছে।
বাংলাদেশে কবে ফিরবেন? গত বছরের অগাস্টে দেশ ছাড়ার পর থেকে হাসিনাকে অনেকবার এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। তার উত্তরে বলেন, 'যখন বাংলাদেশের একটি বৈধ সরকার এবং একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ থাকবে, তখন আমি আনন্দের সঙ্গে সেই দেশে ফিরে যাব। আমি তো সেই দেশের মানুষেরই সারা জীবন সেবা করেছি।'
সংবাদসংস্থা ANI-কে ইমেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাসিনা বলেন, 'চরমপন্থীরা ভারত বিরোধী মনোভাবকে দিনের পর দিন উস্কানি দিচ্ছে। তাতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। ইচ্ছাকৃতভাবে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করছে এই সরকার। কারণ এই সব মৌলবাদীদের বাড়বাড়ন্ত তো ইউনুসের সরকারের আমলেই।'
বাংলাদেশে হিংসার জেরে ভারতীয় দূতাবাস ও দেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়েছে। তা নিয়ে হাসিনার দাবি, এই হামলাকারীরা মৌলবাদী। তাঁর কথায়, 'এরা আসলে সবাই একই ব্যক্তি। এরাই তো ভারতীয় দূতাবাসে মিছিল করে। মিডিয়া অফিসে আক্রমণ করে। সংখ্যালঘুদের খুন করে। এরাই কিন্তু আমাকে এবং আমার পরিবারকে হত্যার চেষ্টা করেছে। আমাদের দেশ ছাড়া করেছে।'
তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হলেও এখনও বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলির উপর আস্থাবান বলে দাবি করেন। বলেন, 'আমি এখনও বিশ্বাস হারাইনি। আমাদের সাংবিধানিক ঐতিহ্য শক্তিশালী। যখন বৈধ শাসনব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের পর আমাদের বিচার বিভাগ তার স্বাধীনতা ফিরে পাবে, তখন ন্যায়বিচারের জয় হবে।'
হাসিনা সাফ জানান, বাংলাদেশে ইসলামপন্থী শক্তিগুলোর হাত মজবুত করা হচ্ছে। তবে এখনও কোটি কোটি বাংলাদেশের মানুষ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের পক্ষে বলেও দাবি করেন তিনি। বলেন, 'আমি অনেকের সঙ্গেই একমত, এখনও লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশি নিরাপত্তা চায়। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে থাকতে পছন্দ করে। চরমপন্থীদের মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়েছেন ইউনুস। কারাগার থেকে দণ্ডিত সন্ত্রাসবাদীদের মুক্তি দিয়েছেন। এটা কেবল ভারতের জন্য নয়, দক্ষিণ এশিয়ার জন্য বেশ বিপজ্জনক।'