Sheikh Hasina Sentence: শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড, রায়ের কপি তুলে দেওয়া হবে ভারতের হাতেও

শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিল ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। ছাত্র আন্দোলন দমন মামলায় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করেছে ট্রাইবুনাল। 

Advertisement
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড, রায়ের কপি তুলে দেওয়া হবে ভারতের হাতেওপ্রধান বিচারক বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন। 
হাইলাইটস
  • শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিল ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল।
  • ছাত্র আন্দোলন দমন মামলায় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করেছে ট্রাইবুনাল। 
  • মানবতাবিরোধী অপরাধে তাঁকে দোষী সব্যস্ত করা হয়েছে।

শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিল ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। ছাত্র আন্দোলন দমন মামলায় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করেছে ট্রাইবুনাল। মানবতাবিরোধী অপরাধে তাঁকে দোষী সব্যস্ত করা হয়েছে। ছাত্র আন্দোলনের উপর ব্যাপক হারে দমন-পীড়নের নির্দেশ দেওয়ার ঘটনায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। সোমবার ট্রাইবুনালের বিচারক বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে হাসিনা তাঁর ঘনিষ্ঠ শাকিলকে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেখানে ২২৬ জন বিক্ষোভকারীকে হত্যার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলে জানান বিচারক। পাশাপাশি হাসিনাকে অবিলম্বে 'উস্কানিমূলক ভাষণ' বন্ধ করতে নির্দেশ দেন বিচারক। ইতিমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের আইনজীবীর দাবি, হাসিনার বিরুদ্ধে প্রচুর প্রমাণ রয়েছে। তাঁকে সর্বোচ্চ শাস্তিই দেওয়া হোক। এরপরেই আদালত হাসিনাকে দোষী সাব্যস্ত করে। 

প্রধান বিচারক বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটিয়েছেন। প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ প্রধানের উপরেও তাঁর সুপিরিয়র কমান্ড কন্ট্রোল ছিল। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ প্রধান যৌথভাবে দমনপীড়নমূলক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলন দমনে অস্ত্র, হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহারেরও অভিযোগ রয়েছে বলে জানান বিচারক।

'১,৪০০ মৃত্যু, ২৪,০০০ জখম'
জুলাই, অগাস্ট ২০২৪ এর মধ্যে ১৪০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে ট্রাইবুনাল। সেই সঙ্গে ২৪,০০০ জন জখম হয়েছেন বলেও পরিসংখ্যান প্রকাশ করে আদালত।

ঠিক কী কী বলেছেন বিচারক?
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঠিক কী কী অভিযোগ ছিল? এদিন রায় দানের আগে পুরোটাই জানান বিচারক। পাঠকদের সুবিধার্থে পুরোটাই বুলেট পয়েন্টের মাধ্যমে পর পর সাজিয়ে দেওয়া হল।

  • মানবতাবিরোধী অপরাধ: আন্দোলন থামাতে শেখ হাসিনা, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ প্রধান(IG) একযোগে দমনমূলক পদক্ষেপ নিয়েছেন।  
     
  • অস্ত্র, হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার: নথি দেখিয়ে করে দাবি করা হয় যে, প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে 'লেথাল ওয়েপন', হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। দক্ষিণ ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের এক প্রাক্তন মেয়রের সঙ্গে হাসিনার আলোচনার অডিও ভিডিও রেকর্ডিং ছিল ট্রাইবুনালের কাছে। সেটার ফরেনসিক টেস্ট করে ভিডিওর সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। আদালতের নথিতে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে।
     
  • পড়ুয়াদের হত্যার নির্দেশ: বিচারকের বক্তব্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন শেখ হাসিনা। আর তখনই নাকি তিনি ছাত্র আন্দোলন দমনের জন্য় কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছিলেন। শুনানিতে এমনটাই উল্লেখ হয়।
     
  • হেট স্পিচ, টার্গেট কিলিংয়ের নির্দেশ: হাসিনাকে অবিলম্বে হেট স্পিচ বন্ধ করার সুপারিশ করে আদালত।
     
  • মৃত্যু, দেহ লোপাটের অভিযোগ: তদন্তের নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, অশুলিয়া ও চাঁখারপুল সহ একাধিক স্থানে ছাত্র আন্দোলনকারীদের মৃত্যু হয়। মৃতদের দেহ পুড়িয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট রিপোর্টে।
     
  • ডাক্তারকে ভয় দেখিয়ে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বদলানো: ছাত্রনেতা আবু সায়েদের মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নাকি ৪ থেকে ৫ বার পরিবর্তন করা হয়েছে। নথিতে এমনই অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

POST A COMMENT
Advertisement