Sheikh Hasina: মাত্র ৪৫ মিনিটে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন হাসিনা, ঠিক কী ঘটেছিল ৫ অগাস্ট?

হাতে ছিল মাত্র ৪৫ মিনিট। তার মধ্যেই দেশ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হয়েছিল শেখ হাসিনাকে। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল তাঁকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণার দিন ফিরে দেখা গতবছর ৫ অগাস্টের সেই দিন।

Advertisement
মাত্র ৪৫ মিনিটে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন হাসিনা, ঠিক কী ঘটেছিল ৫ অগাস্ট?শেখ হাসিনা
হাইলাইটস
  • মাত্র ৪৫ মিনিটে দেশ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন হাসিনা
  • উভয়সংকটে পড়েছিলেন মুজিবকন্যা
  • ফিরে দেখা গতবছর ৫ অগাস্টের সেই দিন

শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিল বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। রায় ঘোষণা হতেই উচ্ছ্বাস ও হাততালিতে ফেটে পড়ে আদালতকক্ষ। হাসিনাকে তিনটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। উস্কানি দেওয়া,  হত্যার নির্দেশ এবং দমনপীড়ন আটকানোর ক্ষেত্রে পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা। সোমবার রায়দান পর্বে ঢাকা কোর্টে বিচারপতি বলেন, ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হয়েছে। হাসিনা, আসাদুজ্জামান এবং আল-মামুন এর জন্য দায়ী।' জুলাই গণঅভ্যুত্থান পর্বে বাংলাদেশ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হতেই ভারতে চলে আসেন মুজিবকন্যা। আশ্রয় নেন নয়াদিল্লিতে। দেশ ছেড়ে বেরিয়ে আসার জন্য মাত্র ৪৫ মিনিট সময় পেয়েছিলেন হাসিনা। ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন বাংলাদেশে?

দিনটা ছিল ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট। গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে ঢাকার পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছিল। রাজধানী ঢাকা থেকে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী বাসভবনের দিকে এগোতে শুরু করেছিলেন। বিক্ষোভকারীরা যখন ঠিক ৪৫ মিনিট পথ দূরে, শেখ হাসিনাকে ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তাঁর কি ঘনিষ্ঠ মহলের পরামর্শ মেনে পদত্যাগ করে দেওয়া উচিত? জনগণের উপর বলপ্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত না তাঁর পালিয়ে যাওয়া উচিত? ধর্মসংকটে পড়েছিলেন মুজিবকন্যা। 

২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা শেষ পর্যন্ত দেশ ছেড়ে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন। তবে এত বড় এবং কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তিনি সামান্যই সময় পেয়েছিলেন। ৪৫ মিনিটের মধ্যে নিজের ভিটে ছেড়ে বেরিয়ে আতে হয়েছিল তাঁকে। এক মিনিটও অতিরিক্ত সময় পাননি হাসিনা। 

ঢাকা শহর তখন দাউদাউ করে জ্বলছে। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সর্বত্র। সম্ভাবনা বাড়ছিল তাঁর আসন চলে যাওয়ার কিন্তু এত অল্প সময়ের মধ্যেই যে তাঁকে দেশত্যাগ করতে হবে তা আন্দাজ করা যায়নি। সম্ভবত, সেনাবাহিনী আন্দাজ করতে পেরেছিল, কত দ্রুত কতটা খারাপ হতে পারে পরিস্থিতি। তাই আর ঝুঁকি নিতে চায়নি। দ্রুত হাসিনাকে দেশ ছাড়ার অনুরোধ করে সেনা। এতই কম সময়ে পুরোটা ঘটে, যে বিমানের ব্যবস্থাও করা যায়নি, সেনা হেলিকপ্টারেই উড়ে যান হাসিনা। 

Advertisement

প্রথমে ভারতের আগরতলায় পৌঁছন মুজিবকন্যা। তারপর চলে আসেন দিল্লিতে। সেখানে সেফ হাউসে রাখা হয় তাঁকে। সেই থেকে দিল্লিতেই রয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত এই বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী। শোনা যায়, কোনওমতে পদত্যাগ করে ভারতে চলে এসেছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। 

হাসিনা দেশ ছাড়তেই বিক্ষোভকারীরা আছড়ে পড়ে তাঁর বাসভবন গণভবনে। শুরু হয় অবাধ লুটপাট। একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দেখা যায় অবাধে লুট হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত জিনিসপত্র, সামগ্রী। আসবাবপত্রও তুলে নিয়ে যায় তারা। 

হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেন, 'আমি কথা দিচ্ছি, সব অন্যায়, সব হত্যার বিচার হবে। সেনাবাহিনীর উপর আস্থা রাখেন। আপনারা আশাহত হবেন না। আপনাদের যত দাবি আছে, পূরণ করব। দেশে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনব। আপনারা সহযোগিতা করুন।' 

 

POST A COMMENT
Advertisement