সজীব ওয়াজেদ জয় (বাঁ দিকে), শেখ হাসিনা (ডান দিকে)বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে শেখ হাসিনাকে। বর্তমানে ক্ষমতাচ্যুত এই বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন দিল্লির সেফ হাউসে। ইতিমধ্যেই হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়ে ভারতের উপর চাপ বাড়াতে শুরু করেছে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। সেক্ষেত্রে কি হাসিনাকে ঢাকার হাতে তুলে দেবে নয়াদিল্লি? এই নিয়ে এবার মুখ খুললেন হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদী এই মুহূর্তে কী নিয়ে উদ্বিগ্ন, তারও ইঙ্গিত দিয়েছেন।
হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে ভারত?
সংবাদ সংস্থাকে জয় বলেন, 'আমার মনে হয় ভারত সরকার জানে এই মুহূর্তে তাদের কী করা উচিত। প্রত্যর্পণের চাপ কীভাবে সামলানো উচিত, তা ওরা ভাল ভাবেই জানে। আমার মনে হয় না ভারত সরকার এই ধরনের বেআইনি অনুরোধে সাড়া দেবে। ভারতের গণতন্ত্রের উপর আমার আস্থা আছে।'
কী নিয়ে উদ্বিগ্ন নরেন্দ্র মোদী?
হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেড জয় মনে করছেন, ইউনূস সরকারের আমলে বাংলাদেশে জামাত-এ-ইসলামের বাড়বাড়ন্ত এই মুহূর্তে ভাবাচ্ছে ভারতকে। তিনি বলেন, 'জামাত-এ-ইসলাম সর্ববৃহৎ ইসলামিক দল। বাংলাদেশে যে মুহূর্তে হাসিনাকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা শোনানো হয়েছে, তখনই জেল থেকে ছাড়া হয়েছে ১০ হাজার জঙ্গিকে। পাশাপাশি লস্কর-ই-তৈবাও বাংলাদেশে অপারেট করা শুরু করেছে। দিল্লিতে সম্প্রতি যে জঙ্গি হামলা হয়েছে তার যোগসূত্র মিলেছে বাংলাদেশে তৈরি লস্করদের শাখার সঙ্গে। বাংলাদেশে এই জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়েই সম্ভবত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্বিগ্ন।'
ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জয় জানিয়েছেন, হাসিনার শাস্তি 'বিচারের নামে প্রহসন'। গোটা বিচার প্রক্রিয়াটিই ভুয়ো ছিল বল অভিযোগ তাঁর। তিনি বলেন, 'সকলেই বুঝে গিয়েছেন, এই রায়দান আগে থেকে ঠিক করা ছিল। দ্রুত ট্রায়াল করা হয়েছে। ১০০ থেকে ১৪০ দিনের মধ্যে ট্রায়াল শেষ করা হয়েছে। অনির্বাচিত, অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক একটি সরকার আইন সংশোধন করেছে। সংসদ ছাড়া এ ভাবে আইন সংশোধন করা যায় না।' নিজের পক্ষে আইনজীবী বেছে নেওয়ারও অধিকার দেওয়া হয়নি শেখ হাসিনাকে। এমনই অভিযোগ জয়ের। তাঁর বক্তব্য, 'আদালত জোর করে একজন আইনজীবীকে চাপিয়ে দিয়েছেন। এটা বিচারের নামে প্রহসন।' তাঁর সংযোজন, 'এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কোনও আইন নেই। যে কোনও আইনি পথে আপিল করার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। যখন আইনের শাসন ফিরবে, এই সাজা পাল্টে যাবে।'