আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ভোটে জেয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানালেন শেখ হাসিনা। আওয়ামি লিগের তরফে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করে এই দাবি করা হয়েছে। সেখানে হাসিনা লিখেছেন, অসাধারণ নেতৃত্ব ক্ষমতার জন্য ট্রাম্প জয়ী হয়েছেন। আমেরিকার মানুষ ট্রাম্পকে চান। এই ঘটনা তার প্রমাণ।
আওয়ামি লিগের তরফে যে প্রেস বিবৃতি জারি করা হয়েছে সেখানে লেখা, 'আওয়ামি লিগের প্রেসিডেন্ট (প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমেরিকার মানুষের অসম্ভব বিশ্বাস রয়েছে ট্রাম্পের উপর। সেজন্যই এই জয় সম্ভব হয়েছে। আমেরিকার মানুষের বিশ্বাসের প্রতীক এই জয়।'
তারপরের অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল হাসিনার। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক মজবুত হয়েছে। আশা করা যায় ভবিষ্যতেও আমেরিকা ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। দুই দেশের উন্নতির জন্য একসঙ্গে কাজ করার পক্ষে মত দিয়েছেন শেখ হাসিনা। শেষ অনুচ্ছেদে ট্রাম্প ও তাঁর পরিবারকে শুভকামনা জানানো হয়েছে। ট্রাম্প আমেরিকার মানুষের পক্ষে কাজ করবেন বলেও মনে করেন হাসিনা। এমনটাই লেখা হয়েছে প্রেস বিবৃতিতে।
তবে মহম্মদ ইউনুসও ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কিন্তু শুভেচ্ছা জানালেও তিনি জো বাইডেনের সমর্থক বলেই দাবি করে থাকেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। অভিযোগ, মহম্মদ ইউনুস এর আগে ট্রাম্পের সমালোচনাও করেছিলেন। এদিকে বর্তমান বাংলাদেশ সরকারকে খোলাখুলি সমর্থন জানিয়েছিলেন জো বাইডেন। যা মোটেও ভালোভাবে নেননি আওয়ামি লিগের সমর্থকরা। তারমধ্যেই কিছুদিন আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে সমালোচনা শুরু করেন। হিন্দুদের উপর সেখানে যে অত্যাচার হচ্ছে তা নিয়ে সরব হন তিনি। তিনি লেখেন, 'আমি হিন্দু, খ্রিস্টান এবং অন্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বর্বর সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাই। এই মানুষগুলোর উপর আক্রমণ করা হচ্ছে। লুটপাট চলছে। সবটা একটা বিশৃঙ্খলা। আমি থাকলে এটা হত না। কমলা এবং জো সারা বিশ্বে এবং আমেরিকায় হিন্দুদের উপেক্ষা করেছে।'
প্রসঙ্গত, গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। ভারতে আশ্রয় নেন তিনি। অনেকেম মতে, ট্রাম্প আমেরিকার ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশের এই অবস্থা হত না। হাসিনা সরকারের পতনও হত না। কারণ হাসিনার সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক ভালো। তাঁর আমলে বাংলাদেশ-আমেরিকার ভালো বোঝাপড়াও গড়ে উঠেছিল।