Awami League Protest: 'দাবায়ে রাখতে পারবা না'! বাংলাদেশে বুঝিয়ে দিচ্ছে আওয়ামী লিগ, বড় অ্যাকশন ঘোষণা

আওয়ামী লিগের আহ্বান, সমাজের সব স্তরের মানুষ এই অভিযানে যোগ দিক। দাবি একটাই, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ। ২০২৪ সালের আন্দোলনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলায় রায়দান যখন দোরগোড়া, ১৯ নভেম্বর রায় ঘোষণা, ঠিক তখনই আওয়ামী লিগ একেবারে জোরদার পথে নামল।

Advertisement
 'দাবায়ে রাখতে পারবা না'! বাংলাদেশে বুঝিয়ে দিচ্ছে আওয়ামী লিগ, বড় অ্যাকশন ঘোষণাবাংলাদেশজুড়ে শাটডাউন ঘোষণা আওয়ামী লিগের
হাইলাইটস
  • একাধিক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গিয়েছে
  • ইউনূস সরকারের শাসনে বাংলাদেশের করুণ অবস্থা
  • আওয়ামী লিগের এই উত্থান বাংলাদেশে নতুন সূর্যোদয়ের ইঙ্গিত

বাংলাদেশ এই মুহূর্তে তপ্তভূমি। গোটা দেশজুড়ে হাই অ্যালার্ট। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মামলার রায় সোমবার ঘোষণা করবে ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। আওয়ামী লিগ যে বাংলাদেশে এখনও বেশ শক্তিশালী ও বিরাট অংশের সমর্থক রয়েছে, তা ফের প্রমাণ করছে দেশটির বর্তমান পরিস্থিতিতে। মহম্মদ ইউনূসের সরকার ও কট্টরবন্থীরা মিলে যতই আওয়ামী লিগের নেতা, সমর্থকদের উপর অত্যাচার করুক, হাসিনার দল বুঝিয়ে দিচ্ছে, 'তোমরা আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবা না।' যার নির্যাস, আজ অর্থাত্‍ ১৪ নভেম্বর থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশজুড়ে লকডাউন অভিযান ঘোষণা করল আওয়ামী লিগ। 

একাধিক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গিয়েছে

আওয়ামী লিগের আহ্বান, সমাজের সব স্তরের মানুষ এই অভিযানে যোগ দিক। দাবি একটাই, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ। ২০২৪ সালের আন্দোলনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলায় রায়দান যখন দোরগোড়া, ১৯ নভেম্বর রায় ঘোষণা, ঠিক তখনই আওয়ামী লিগ একেবারে জোরদার পথে নামল। ইতিমধ্যেই একাধিক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গিয়েছে ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায়। নামানো হয়েছে সেনা ও পুলিশ। এমনকী রাস্তায় পেট্রোল পাম্পগুলিতেও জ্বালানি বিক্রি আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। 

ইউনূস সরকারের শাসনে বাংলাদেশের করুণ অবস্থা

আওয়ামী লিগের নেতা মহিবুল হাসান চৌধুরী জানাচ্ছেন, ইউনূস সরকারের শাসনে বাংলাদেশের করুণ অবস্থাই মানুষের কাছে স্পষ্ট করে তুলে ধরতে এই লকডাউন। তাঁর কথায়, 'আমাদের উদ্দেশ্য ছিল দেখানো যে ইউনুসের সরকারের সঙ্গে মানুষ আর নেই। আমরা যে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলাম, তার জবাব দেশের মানুষই দিয়েছেন। শুধু ঢাকাই নয়, দেশের নানা জায়গায় মানুষ ঘরে থাকছেন এবং এই বেআইনি, দমনমূলক সরকারের সঙ্গে যুক্ত সব কিছুকেই বয়কট করছেন। রাজধানী ইতিমধ্যেই প্রায় জনশূন্য। আমাদের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছিল, আমরা নাকি হিংসা ছড়াব, কিন্তু মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে এবং ব্যাপকভাবে সরকারি বয়কটে সামিল হয়ে তার জবাব দিয়েছে।' 

Advertisement

আওয়ামী লিগের এই উত্থান বাংলাদেশে নতুন সূর্যোদয়ের ইঙ্গিত

আওয়ামী লিগের এই উত্থান বাংলাদেশে নতুন সূর্যোদয়ের ইঙ্গিত বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। যে স্বপ্ন দেখিয়ে আন্দোলনের নামে হিংসা ছড়িয়ে কট্টরপন্থীদের হাতে দেশ তুলে দেওয়া ষড়যন্ত্র ক্রমশ ফিকে হয়ে যাচ্ছে ইউনূস সরকারে। ছাত্রদের উস্কানি দিয়ে দেশে অচলাবস্থা তৈরি করা নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে দেশের ভেতরে ক্ষোভ বাড়ছে। বিরোধী দলই নয়, সাধারণ মানুষেরও বড় অংশ সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আধিপত্য, সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ এবং নির্বিচারে গ্রেফতারের অভিযোগ তুলছেন। ক্রমবর্ধমান প্রতিবাদ সামলাতে বড় বড় শহরে কড়া পুলিশি নজরদারি এবং যাতায়াতে নানা বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা টহল বাড়িয়েছি, গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গায় নিরাপত্তা আরও মজবুত করা হয়েছে। রাস্তার ধারে জ্বালানি বিক্রিও বন্ধ রাখা হয়েছে।

আওয়ামী লিগের কাছে বৃহস্পতিবারের লকডাউন শুধুই একটি প্রতিবাদ কর্মসূচি নয়, এটি এক ধরনের রাজনৈতিক পরীক্ষা। দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব কেউ জেলে, কেউ দেশ ছেড়ে বাইরে। এর মধ্যেই তারা প্রমাণ করতে চাইছে, মাসের পর মাস দমন-পীড়ন সত্ত্বেও তাদের সমর্থনশক্তি এখনও টিকে আছে। দলের মধ্যে অনেকেই মনে করছেন, বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ আন্দোলনকে আরও জোরদার করছে।

POST A COMMENT
Advertisement