নির্বাচন মানছে না আওয়ামী লিগবৃহস্পতিবার ভোটের ঘোষণা হয়েছে বাংলাদেশে। আর সেই নির্বাচন সূচিকে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লিগ। তাদের মতে, এটি হল 'অবৈধ সরকারের অবৈধ নির্বাচন কমিশন'। তাই তারা 'মুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক” নির্বাচন আয়োজনের জন্য একটি নিরপেক্ষ 'কেয়ারটেকার' সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৭৮ বছর বয়সী শেখ হাসিনা গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে হওয়া গণঅভ্যুত্থানের সময় থেকেই বাংলাদেশ ছেড়েছেন। তিনি এখন ভারতে রয়েছেন। আর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তাঁকে 'মানবতাবিরোধী অপরাধের' অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় এনেছে আওয়ামী লিগকে। যার ফলে এই রাজনৈতিক দলটির সব কর্মসূচি বন্ধ রাখা হয়েছে।
কবে হতে চলেছে বাংলাদেশের নিবার্চন?
আসলে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশে ভোট হয়নি। সেখানে এখন মহম্মদ ইউনূসের অন্তবর্তী সরকার চলছে। এমতাবস্থায় দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশে ভোটের দাবি উঠছিল। তবে হাজার টালবাহানার পর ভোট করাতে উদ্যত হয়েছেন ইউনূস।
এই পরিস্থিতিত বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন যে বাংলাদেশে ১২ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচন হবে।
আর এই নির্বাচনকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে আওয়ামী লিগ। তাদের পক্ষ থেকে এই বিষয়টা মাথায় রেখে একটা পোস্ট করা হয় এক্স-এ। সেখানে তারা 'অবৈধ সরকারের অবৈধ নির্বাচন কমিশন' বলে অভিযোগ করে।
তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'এখন স্পষ্ট যে বর্তমান কর্তৃপক্ষ পুরোপুরি পক্ষপাতদুষ্ট। তাদের নিয়ন্ত্রণে কোনও স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে এমন ন্যায্য ও স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করা অসম্ভব।'
তাদের পক্ষে আরও দাবি, 'আওয়ামী লিগ নির্বাচনে অংশ নেওয়া দল। আওয়ামী লিগের জনগণের সামনে দাঁড়ানোর শক্তি, সাহস এবং সামর্থ্য রয়েছে।'
এখানেই শেষ না করে দলটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করা আওয়ামী লিগ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণকে বাদ দিয়ে নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা দেশ ও জাতিকে গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র।'
এছাড়া তাদের পক্ষ থেকে হাসিনা সহ সব বড় নেতাদের উপর 'মনগড়া মামলা' প্রত্যাহার, সব রাজনৈতিক বন্দির নিঃশর্ত মুক্তি এবং আওয়ামী লিগের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আয়োজন করতে বলা হয়েছে সুষ্ঠু নির্বাচন।