Bangladesh: আর কত অপমান! শেখ মুজিবুর নাকি ইচ্ছে করে পাক সেনার হাতে বন্দি হয়েছিলেন, দাবি ছাত্রনেতার

সারজিসের এই পোস্টের পর শোরগোল পড়ে যায়। অনেকেই তাঁর দাবিকে সমর্থন করেন। কেউ কেউ বিরোধিতাও করেন। পরে এই ছাত্রনেতা নিজের পোস্ট ডিলিট করেন ও সংবাদমাধ্যমের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নতুন একটি পোস্টে তিনি লেখেন, 'দেশের প্রথম সারির কিছু পত্রিকা ও মিডিয়া হাউজ শুধুমাত্র TRP আর ব্যাকডোর নেগোসিয়েশনের কারণে দিনে দিনে প্রোপাগান্ডা সেলে পরিণত হচ্ছে।

Advertisement
আর কত অপমান! শেখ মুজিবুর নাকি ইচ্ছে করে পাক সেনার হাতে বন্দি হয়েছিলেন, দাবি ছাত্রনেতারআর কত অপমান! শেখ মুজিবুর নাকি ইচ্ছে করে পাক সেনার হাতে বন্দি হয়েছিলেন, দাবি ছাত্রনেতার
হাইলাইটস
  • পরে এই ছাত্রনেতা নিজের পোস্ট ডিলিট করেন ও সংবাদমাধ্যমের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন
  • সারজিস আলম দেশের সেনাবাহিনীকে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন

ফের বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা মহম্মদ সারজিস আলম। বুধবার সকালে ফেসবুক পোস্ট করে তিনি দাবি করেন, মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে ইচ্ছাকৃত ভাবে পাকিস্তানি সেনার হাতে বন্দি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। শুধু তাই নয়, এই ছাত্রনেতার দাবি, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মাঠে ময়দানে উপস্থিত ছিলেন না মুজিবুর রহমান। যদিও পরে সেই পোস্ট ডিলিট করেন সারজিস।

কী লিখেছিলেন সারজিস?

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম লেখেন, 'মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে ইচ্ছাকৃতভাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে বন্দী হয়ে বিজয়ের পর পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের জেলে বন্দি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকলেও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি সরাসরি মাঠে ছিলেন না। তাজউদ্দিন আহমদ মাঠে থেকে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল হয় কিভাবে? মন্ত্রণালয়ের কাজ ছিল- মুক্তিযোদ্ধার নামে সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার জন্য আওয়ামী আমলে যারা নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা সেজেছেন এবং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তাদেরকে খুঁজে বের করে তাদের মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা। কিন্তু তা না করে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মাঠে থেকে যারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় সরাসরি অবদান রেখেছেন তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাতিল করার মত অপ্রয়োজনীয় কাজ কোনোভাবেই কাম্য নয়। ইতিহাস যেন কখনো ক্ষমতাসীনদের পক্ষের না হয়। ইতিহাসকে ইতিহাসের মতো করেই চলতে দেওয়া উচিত।' (অসম্পাদিত)

সেনাকেও ছাড় নয়

সারজিসের এই পোস্টের পর শোরগোল পড়ে যায়। অনেকেই তাঁর দাবিকে সমর্থন করেন। কেউ কেউ বিরোধিতাও করেন। পরে এই ছাত্রনেতা নিজের পোস্ট ডিলিট করেন ও সংবাদমাধ্যমের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নতুন একটি পোস্টে তিনি লেখেন, 'দেশের প্রথম সারির কিছু পত্রিকা ও মিডিয়া হাউজ শুধুমাত্র TRP আর ব্যাকডোর নেগোসিয়েশনের কারণে দিনে দিনে প্রোপাগান্ডা সেলে পরিণত হচ্ছে।' ওই পোস্টের কমেন্টে সারজিস লেখেন, 'যে তথ্যের ভিত্তিতে আমি পূর্বের পোস্ট দিয়েছিলাম সেই তথ্য যেহেতু সঠিক নয় তাই আমি আমার পূর্বের লেখাটি সরিয়ে ফেললাম। ফ্যাক্ট চেক না করে শুধুমাত্র প্রথম সারির কিছু মিডিয়ার তথ্যের ভিত্তিতে লেখাটি লেখার জন্য দুঃখিত। আশা করছি পরবর্তীতে এই ধরনের পুনরাবৃত্তি হবে না।'

Advertisement

গত অগাস্টে বাংলাদেশে ছাত্র বিক্ষোভের অন্যতম প্রধান মুখ এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা সারজিস আলম দেশের সেনাবাহিনীকে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। রাজনীতিবিদ এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বাসভবনে ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপি এবং স্টুডেন্টস এগেইনস্ট ডিসক্রিমিনেশন (এসএডি) এর কিছু ছাত্র নেতাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সেনাবাহিনী। এনিয়ে সেনার বিরুদ্ধেও সুর চড়ান সারজিস। তিনি প্রশ্ন করেন, আওয়ামী লিগের গুণ্ডা এবং খুনিদের গ্রেফতারের জন্য গত ৯ মাসে সেনা কতগুলি অভিযান করেছে?

পাল্টা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৭২তম পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুম বলেছেন, আপাতত, আমাদের অবস্থান স্পষ্ট - যারা জনজীবনকে ব্যাহত করে, ভাঙচুরে জড়িত হয়, আগুন লাগায় বা বাড়িঘর ধ্বংস করে তাদের এই বার্তাটি বুঝতে হবে। তাদের আর এই ধরনের কাজ করার সুযোগ দেওয়া হবে না।'

POST A COMMENT
Advertisement