বাংলাদেশে ব্যবসায়ী লালচাঁদ সোহাগের মৃত্যু ঘিরে চাপ বাড়ছে মহম্মদ ইউনূসের প্রশাসনের উপর। সেই দেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদেরর ক্ষোভের মুখে পুলিশ। তদন্তকারীদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অন্তর্বতীকালীন সরকার হিংসা দমনে ব্যর্থ, এমনই অভিযোগ করছেন সেখানকার পড়ুয়ারা।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ধৃতদের মধ্যে থেকে ২ জনের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তবে পুলিশে আস্থা রাখতে পারছে না সাধারণ মানুষ। শনিবার সরকার পরিচালিত ইডেন কলেজ ও একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দেখান ছাত্র-ছাত্রীরা। লালচাঁদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরপরই ঢাকা এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ও বিক্ষোভ চলে। শনিবার রাতেও তা নতুন করে বিক্ষোভ দেখানো হয় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সেই মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, আবাসিক ভবন, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রদক্ষিণ করে। সেই মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ছাড়াও বাইরের অনেকে অংশ নেয়।
নিহত সোহাগের পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে এই খুন। তিনি সমর্থন করতেন বিএনপিকে। ৫ অগাস্টের পর কিছুটা সক্রিয় হয়ে যুবদলের নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলেন। সেই ঘনিষ্ঠতাই কাল হয় তার জীবনে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) যুব মোর্চার একদল কর্মী সোহাগকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ। এদিকে ঘটনা সামনে আসার পর গণপিটুনির অভিযোগে অভিযুক্ত চার অভিযুক্তকে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এই প্রথম নয়। জুলাই মাসের শুরুতে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কুমিল্লার মুরাদনগরের এক মহিলা এবং তাঁর ২ সন্তানকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ১০ জুলাই জানিয়েছে, ৪ অগাস্ট, ২০২৪ থেকে ৩৩০ দিনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ২,৪৪২টি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সম্মুখীন হয়েছে। পরিষদ আরও জানিয়েছে, মহম্মদ ইউনূসের আমলে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বেড়েই চলেছ।