সিরিয়ায় বিদ্রোহের পর প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সপরিবারে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন। দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট পুতিনও তাঁকে মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছেন। তবে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আসাদই একমাত্র রাষ্ট্রপ্রধান নন, যিনি অভ্যুত্থানের পর অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এই তালিকায় আছেন একাধিক। সদ্য শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে এবং আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিও দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন।
আফগানিস্তান
আফগানিস্তানের অভ্যুত্থান দিয়ে শুরু করা যাক। ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের পর দেশটির দখল নেয় তালিবানরা। তার আগেই আফগানিস্তান ছাড়েন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। তিনি ২০১৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সে দেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তালিবানির অভ্যুত্থানের জেরে তাঁকে দেশ ছাড়তে হয়। প্রথমে জানা গিয়েছিল, তিনি তাজিকিস্তানে পৌঁছেছেন। পরে জানা গেল, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে (ইউএই) আশ্রয় নিয়েছেন।
শ্রীলঙ্কা
প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব ও দারিদ্র্যের কারণে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ রাষ্ট্রপতি ভবন দখল করে নিয়েছিলেন। বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রপতি ভবনে ঢুকে ভাঙচুর করে। ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক সংকটে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন রাজাপক্ষে।
বাংলাদেশ
দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর ভবনে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। চলে লুঠপাটও। সেই সব ছবি ভাইরাল হয় নেট মাধ্যমে। একটি ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রীর ভবনের রান্নাঘর থেকে কিছু লোককে চিকেন খেতে দেখা গেছে। তার আগে শেখ হাসিনা তাঁর বোনকে নিয়ে ঢাকা থেকে সরাসরি ভারতে পৌঁছন। গত পাঁচ মাস ধরে তিনি ভারতে।
সাম্প্রতিককালে সিরিয়া এই তালিকার চতুর্থ দেশ। বিদ্রোহীদের হাতে দামাস্কাস দখলে আসার পরই পালান আসাদ। তারপর প্রেসিডেন্ট ভবনে চলেছে বিস্তর লুঠপাট।