বাংলাদেশে চলমান হিংসা বিক্ষোভের মধ্যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নীতির সমালোচনা করলেন বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে শেখ হাসিনা ও আন্দোলনকারীদের কথা উল্লেখ করেছেন। তসলিমা নাসরিন বলেন, "হাসিনা, ইসলামিক মৌলবাদীদের খুশি করার জন্য, ১৯৯৯ সালে যখন আমি আমার মাকে মৃত্যুশয্যায় দেখতে বাংলাদেশে প্রবেশ করি তখন আমাকে আমার দেশ থেকে বের করে দেয় এবং আমাকে আর কখনও দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। সেই ইসলামিক মৌলবাদীরা ছাত্র আন্দোলনে জড়িত, যারা হাসিনাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে।"
Hasina in order to please Islamists threw me out of my country in 1999 after I entered Bangladesh to see my mother in her deathbed and never allowed me to enter the country again. The same Islamists have been in the student movement who forced Hasina to leave the country today.
— taslima nasreen (@taslimanasreen) August 5, 2024
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,তসলিমা নাসরিন বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হওয়ার পর ভারতে এসে বসবাস শুরু করেন। তসলিমা নাসরিন আরেকটি পোস্টে লিখেছেন, হাসিনাকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে হয়েছে, তার এই অবস্থার জন্য তিনি নিজেই দায়ি। তিনি ইসলামী মৌলবাদীদের বিকাশ ঘটতে দিয়েছেন,তিনি নিজের লোকদের দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়তে দিয়েছে।
বাংলাদেশে অভ্যুত্থান
বাংলাদেশে হিংসার মধ্যে অভ্যুত্থান হয়েছে। পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদত্যাগের পর শেখ হাসিনাও বাংলাদেশ ছেড়েছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশে বিদ্রোহের পর জনতা রাজপথে নেমেছে। এঁদের মধ্যে কিছু বিক্ষোভকারী প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকে প্রচুর লুটপাট করেছেন। এরপর আওয়ামী লিগের অনেক এমপি-মন্ত্রীর বাড়ি, অফিসে হামলা ও আগুন দেওয়া হয়। বাংলাদেশেও চারটি হিন্দু মন্দিরকে নিশানা করা হয়েছে। সারা বিশ্বের চোখ এই সময়ে বাংলাদেশের দিকে। পাশাপাশি শেখ হাসিনা ভারতে থাকায় গোটা দুনিয়া ভারতের দিকেও তাকিয়ে আছে।
Hasina had to resign and leave the country. She was responsible for her situation. She made Islamists to grow. She allowed her people to involve in corruption. Now Bangladesh must not become like Pakistan. Army must not rule.Political parties should bring democracy & secularism.
— taslima nasreen (@taslimanasreen) August 5, 2024
তসলিমা আরও বলেন, এখন বাংলাদেশ যেন পাকিস্তানের মতো না হয়। সেনাবাহিনীর শাসন করা উচিত নয়। রাজনৈতিক দলগুলোকে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা আনতে হবে।