Bangladesh Viral: শিশুদের মুখে জিভ ঢুকিয়ে দিচ্ছে জামাতের আমির, বাংলাদেশের ভিডিও ভাইরাল

বাংলাদেশে ধর্মীয় উগ্রতা এবং জামায়াত-ই-ইসলামির ক্ষমতা বিস্তার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। সম্প্রতি তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, বাংলাদেশ ক্রমশ জেহাদি এবং ভারত-বিরোধী শক্তির দখলে চলে যাচ্ছে। তার অভিযোগ, দেশে ধর্মের নামে অত্যাচার এবং উগ্রপন্থার বিস্তার এতটাই বেড়েছে যে সাধারণ মানুষ এর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছে।

Advertisement
শিশুদের মুখে জিভ ঢুকিয়ে দিচ্ছে জামাতের আমির, বাংলাদেশের ভিডিও ভাইরালবিতর্কিত ভিডিওর অংশ।-ভিডিও থেকে নেওয়া ছবি
হাইলাইটস
  • বাংলাদেশে ধর্মীয় উগ্রতা এবং জামায়াত-ই-ইসলামির ক্ষমতা বিস্তার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
  • সম্প্রতি তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, বাংলাদেশ ক্রমশ জেহাদি এবং ভারত-বিরোধী শক্তির দখলে চলে যাচ্ছে।

বাংলাদেশে ধর্মীয় উগ্রতা এবং জামায়াত-ই-ইসলামির ক্ষমতা বিস্তার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। সম্প্রতি তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, বাংলাদেশ ক্রমশ জেহাদি এবং ভারত-বিরোধী শক্তির দখলে চলে যাচ্ছে। তার অভিযোগ, দেশে ধর্মের নামে অত্যাচার এবং উগ্রপন্থার বিস্তার এতটাই বেড়েছে যে সাধারণ মানুষ এর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছে।

ধর্মীয় উগ্রতা ও হিন্দু নিপীড়নের অভিযোগ
তসলিমা নাসরিনের বক্তব্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ধর্মের নামে এমন সব কার্যকলাপ ঘটছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। তিনি উল্লেখ করেন, হিন্দুদের উপর নানা ভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে, মন্দিরে ঢুকে ধর্মীয় অপমানমূলক কাজ করা হচ্ছে এবং এমনকি হিন্দুদের রোজা রাখার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। তাঁর মতে, ধর্মান্ধতার এই প্রবণতা দেশকে গভীর সংকটে ফেলে দিচ্ছে।

জামাত নেতার বিতর্কিত কর্মকাণ্ড
এই প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে বিতর্কিত ঘটনা হল জামায়াত-ই-ইসলামির আমির শফিক উর রহমানের কর্মকাণ্ড। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তিনি মাদ্রাসার শিশুদের সঙ্গে অস্বাভাবিক ও আপত্তিকর আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁর অভিযোগ, এক ভিডিওতে দেখা গেছে, তিনি একাধিক শিশুর মুখে জিভ ঢুকিয়ে দিচ্ছেন। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার ঝড় ওঠে।

শিশুদের নিরাপত্তা ও অভিভাবকদের নীরবতা
এই ঘটনার পরও জামায়াত সমর্থকদের তরফ থেকে কোনও নিন্দা প্রকাশ করা হয়নি, বরং ধর্মের দোহাই দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। অনেক অভিভাবকও নীরব রয়েছেন, যা আরও উদ্বেগজনক। ধর্মীয় শিক্ষা দিতে গিয়ে শিশুদের এমন মানসিক ও শারীরিক হয়রানি মেনে নেওয়া যায় না বলেই মনে করছেন সমালোচকরা।

উগ্রপন্থার উত্থানে বিপদের আশঙ্কা
তসলিমা নাসরিন আরও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, বাংলাদেশে যদি এই প্রবণতা চলতে থাকে, তাহলে জামায়াত-ই-ইসলামির পাশাপাশি পাকিস্তান-পন্থী ও ভারত-বিরোধী শক্তিগুলিও ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠবে। এতে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা বিপন্ন হবে এবং ভবিষ্যতে আরও চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলি ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে পারে।

সরকারের অবস্থান ও পদক্ষেপ
এই বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সরকার কী পদক্ষেপ নেয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়। যদিও জামায়াত-ই-ইসলামিকে সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ করেছে, কিন্তু তারা বিভিন্ন উপায়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। শিশুদের সুরক্ষা এবং ধর্মীয় উগ্রপন্থা রোধে সরকার যদি যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের মত।

Advertisement


 

POST A COMMENT
Advertisement