বাংলাদেশে সবসময় খবরের শিরোনামে রয়েছেন অভিনেত্রী পরিমনী। শাকিব খানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে চর্চায় ছিলেন শবনম বুবলিও। তবে টিটটক প্ল্যাটফর্মে তাদের হারিয়ে বাংলাদেশ সেরা হলেন এই সময়ের ঢালিউডের অন্যতম অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি। বর্তমানে যে কজন অভিনেত্রী ঢালিউডে সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে এগিয়ে চলছেন তাদের মধ্যে অন্যতম সামিরা খান মাহি। তরুণ এই অভিনেত্রী এরইমধ্যে নাটক-টেলিফিল্মে নিজের জাত চিনিয়েছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি টিকটকার হিসেবেও বেশ পরিচিত তিনি। নতুন খবর হলো, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে টিকটকে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন সামিরা খান মাহি। এ বছর যেসব কনটেন্ট আপলোড হয়েছে, সেগুলোর মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই করে একটি বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে টিকটক। সেখানে সবার সেরা হয়েছে মাহির ভিডিও।
টিকটক সম্প্রতি ২০২২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই তালিকায় বাংলাদেশের টিকটক ভিডিও নির্মাতাদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি। তাকে বছরের শীর্ষ কনটেন্ট ক্রিয়েটর উল্লেখ করে টিকটক তার আইডির পাশে লিখেছে, সামিরা তার শর্ট ভিডিওগুলোর মাধ্যমে দেখিয়েছেন কীভাবে প্রাণবন্ত থাকা যায়। সামিরা খান মাহির ভিডিওগুলো এ পর্যন্ত ১৩২.৮ মিলিয়ন লাইক পেয়েছে। তার টিকটক অ্যাকাউন্টে ৪৫ লাখের বেশি ফলোয়ার রয়েছে।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় টিকটকারদের তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছেন হামজা খান শায়ান ও অনির্বাণ কায়সার। চতুর্থ স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন আরেক অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। তার আইডির পাশে লেখা, সুন্দরী অভিনেত্রী মেহজাবীন তার মোহনীয় হাসি দিয়ে অন্যদের উজ্জীবিত করেছেন। মেহজাবীনের ফলোয়ার আছে ২৪ লাখের বেশি।
বাংলাদেশে টিকটকারদের তালিকায় শীর্ষ স্থানে আসার বিষয়টি এক বন্ধুর কাছ থেকে জানতে পারেন সামিরা খান মাহি। এ নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত মাহি। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারি। ও নিজেও এই তালিকায় আছে। তো আমাকে একটা স্ক্রিনশট পাঠানোর পর আমি দেখি, ওর নাম তিন নাম্বারে। কিন্তু তখনও আমি আমার ব্যাপারটা জানতাম না। পরে দেখি এক নাম্বারে লেখা ‘সামিরা’ নামটি। বুঝতে পারছিলাম না সেটা আমি কিনা। পরে চেক করে দেখি এটা তো আমি' মাহি আরও বলেন, ‘এই প্ল্যাটফর্মে এত মানুষ সক্রিয়। সেখানে সবাই আমার ভিডিও দেখেছেন, এ জন্য আমি ভীষণ আনন্দিত। এ ছাড়া টিকটক নিয়ে অনেকেই নেতিবাচক কথাবার্তা বলেন, তো সেই প্ল্যাটফর্মে যখন এমন স্বীকৃতি পাই, সেটার আনন্দ একটু বেশিই।’ টিকটক নিয়ে সমালোচনা হলেও অনেকেই এর মাধ্যমে নিজেদের সৃজনশীলতা ও মেধার দেখানোর সুযোগ পাচ্ছেন বলে মনে করেন মাহি।