আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে ভোটের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ইউনূস সরকার। গত সপ্তাহেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপও ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। এবার সামনে এল নতুন তথ্য। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌ ও বিমানবাহিনীকে কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার দুপুরে সিলেটে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার, কারা অধিদফতর, ফায়ার সার্ভিস, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এরপরেই সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীকেও আমরা অনুরোধ করেছি। বিজিবি, আনসার, তাদেরও আমরা অনুরোধ করেছি। ইলেকশনে আনসারের ভূমিকা কিন্তু সবচেয়ে বেশি। আগে ১২ জন আনসার থাকতেন নির্বাচনের দায়িত্বে। এখন আরেকজন বাড়িয়ে দেব প্রিসাইডিং কর্মকর্তার নিরাপত্তার দায়িত্বে। পুলিশ সব জায়গায় ২ জন করে, আবার কোনো জায়গায় ৩ জন করে থাকবে। সেনাবাহিনী তো মোবাইলে থাকবে। বিজিবি, র্যাব, এবিপিএন সবাই থাকবে।' তিনি আরও জানান, 'শুধু সেনাবাহিনী নয়, এবার নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে।'
এদিকে বাংলাদেশে নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকে সমর্থন করে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার সেকথা জানিয়ে দিলেন ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত। সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ((চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স) ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন বলেন, বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে মার্কন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার কোনও রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি বা নির্দিষ্ট ফলাফলের প্রতি সমর্থন জানায় না। এটি একান্তই বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।
এদিন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জ্যাকবসন বলেন, অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে। তাদের প্রত্যাশা, আগামী বছরের শুরুর নির্বাচনটি হবে শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সফল গণতান্ত্রিক সরকার গঠিত হবে, যা বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গুজব ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, মার্কিন সরকার কোনও নির্দিষ্ট দলের পক্ষ নেয় না।