EXCLUSIVE: দু'বছরের প্লট! বাংলাদেশের এই অবস্থার পিছনে আসলে কারা? গোয়েন্দা রিপোর্টে 'বিস্ময়'

Bangladesh Violence: সূত্রের খবর, মাত্র ২০ দিনের কোটা বিরোধী আন্দোলনে এত বড় ঘটনা ঘটেনি। কোটা বিরোধী আন্দোলনটি ছিল সলতেতে আগুন মাত্র। এই গোটা ঘটনার প্লট তৈরি হয়েছে ২ বছর আগে। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। টানা ২ বছরের রূপরেখা নিয়ে জামাতের প্ল্যান ছিল।

Advertisement
EXCLUSIVE: দু'বছরের প্লট! বাংলাদেশের এই অবস্থার পিছনে আসলে কারা? গোয়েন্দা রিপোর্টে 'বিস্ময়' বাংলাদেশের অশান্তি -- ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • গত দু'বছর ধরে তৈরি করা হয়েছে প্লট
  • যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল 
  • গোটা ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্রে জড়িত পাকিস্তান ও ISI

কথায় বলে 'বিন্দুতে বিন্দুতে তৈরি সিন্ধু'! মাত্র ২০ দিনের আন্দোলনেই কি বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতন হল? একটা দেশের সরকার পতন কি এতটাই সহজ? না। যা দেখা যাচ্ছে, তা সবই ঠিক নয়। ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি-র রিপোর্ট বলছে, বাংলাদেশের এই গোটা পরিস্থিতি তৈরির পিছনে মূল কারিগর হল জামাত-ই-ইসলামির ছাত্র সংগঠন। 

গত দু'বছর ধরে তৈরি করা হয়েছে প্লট

সূত্রের খবর, মাত্র ২০ দিনের কোটা বিরোধী আন্দোলনে এত বড় ঘটনা ঘটেনি। কোটা বিরোধী আন্দোলনটি ছিল সলতেতে আগুন মাত্র। এই গোটা ঘটনার প্লট তৈরি হয়েছে ২ বছর আগে। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। টানা ২ বছরের রূপরেখা নিয়ে জামাতের প্ল্যান ছিল।  ইসলামি ছাত্র শিবিরের (Islami Chhatra Shibir) ক্যাডাররা স্বীকার করেছেন, গত দু বছর ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সংগঠিত করতে শুরু করেছিল। যার নির্যাস, কোটা বিরোধী আন্দোলনে যারা হিংসাত্মক ভাবে বাংলাদেশের রাস্তায় নেমেছিল, তারা সবাই ছাত্র। সার্বিক ভাবে এই ঘটনাকে তাই ছাত্র আন্দোলন হিসেবে আখ্যা দেওয়া হচ্ছিল। আসলে ছাত্রদের সামনে রেখে সরকার ফেলার প্লট রেডি ছিল আগেই। 

হিংসার কবলে বাংলাদেশ
হিংসার কবলে বাংলাদেশ

যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল 

জামাত-ই-ইসলামির ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবিরের শক্তিশালী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গির বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকেই মূলত আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল। গত ৩ বছরে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যতগুলি ছাত্র সংগঠন জিতেছে, তারা সবাই ইসলামি ছাত্র শিবিরের সমর্থনেই জিতেছে। ছাত্র রাজনীতি ছাড়াও এই ছাত্র সংগঠন মাদ্রাসাগুলিতে নানা কার্যকলাপের সঙ্গেও যুক্ত।  

হিংসার কবলে বাংলাদেশ
হিংসার কবলে বাংলাদেশ

গোটা ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্রে জড়িত পাকিস্তান ও ISI

ভারতে যত যত জামাত-উল-মুজাহিদিন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, দেখা গিয়েছে, তারা বেশিরভাগই ইসলামি ছাত্র সংগঠনের ক্যাডার। ইসলামি ছাত্র সংগঠনের প্রধান নেতা দুজন, নুরুল ইসলাম বুলবুল মহম্মদ নজরুল ইসলাম ও কামাল আহমেদ সিকদার। এই সংগঠনের সঙ্গে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ISI-এর নিবিড় যোগাযোগ। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে এই ছাত্র সংগঠনের ক্যাডারদের যাতায়াত চলতেই থাকে। মলদ্বীপের মতো বাংলাদেশেও যে ভারত-বিরোধিতা শুরু হয়েছিল, এই সবকিছুর পিছনে ইসলামি ছাত্র শিবির। গোটা ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্রে জড়িত পাকিস্তান ও ISI। 

Advertisement

ISI-এর ষড়যন্ত্রের পাতা ফাঁদেই পা দিয়েছিলেন ছাত্ররা

ইন্টেলিজেন্স রিপোর্টে আরও জানা যাচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো ডিপি দিয়ে ছদ্মবেশে ছাত্রদের এই আন্দোলনে ঢুকে পড়েছিল ISI এজেন্টরা। ISI-এর ষড়যন্ত্রের পাতা ফাঁদেই পা দিয়েছিলেন ছাত্ররা। যার নির্যাস, আজকের বাংলাদেশ।


POST A COMMENT
Advertisement