তরেক রহমানগুরুতর অসুস্থ বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি)-এর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এমন পরিস্থিতিতে দেশে ফিরতে চলেছেন খালেদা পুত্র তথা বিএনপিএ-র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশে পা রাখতে চলেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে গ্রেফতার হয়েছিলেন তারেক। ২০০৮ সালে জেল থেকে মুক্তি পান। তারপর চিকিৎসার জন্য সপরিবারে ব্রিটেনে চলে যান। সেখানে ছিলেন এতদিন। যদিও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে আসা মহম্মদ ইউনূস সরকার ২১ অগস্ট গ্রেনেড হামলা, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি, আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি-সহ অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ মামলা থেকে তারেককে অব্যাহতি দিয়েছে। এরপরই দেশে ফিরছেন তারেক।
আর তিনি এমন সময় ঘরে ফিরছেন যখন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর মা খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
যদিও তারেকের ঘরে ফেরার সঙ্গে শুধু মায়ের অসুস্থতাকে যোগ করতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির জল মাপতেও তিনি এই দেশে আসছেন।
আসলে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে ভোট ঘোষণা করা হয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি হবে ভোট। সেই ভোটের আগেই দেশে ফিরছেন তারেক। মা অসুস্থ থাকায় আপাতত তাঁর হাতেই রয়েছে বিএনপি-এর ব্যাটন। তাই তিনি বাংলাদেশে ভোটের আগে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতেই ফিরছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারেকের ফেরা প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, 'আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, আমাদের প্রিয় নেতা, যিনি ১৮ বছর নির্বাসনে ছিলেন, তিনি ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরতে চলেছেন। তিনি গত বছর ছাত্র আন্দোলনের সময় গণতান্ত্রিক লড়াইতে আমাদের দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।'
এখানেই থেমে না থেকে তিনি আরও বলেন, 'তারেকের ফিরে আসা দেশের মানুষের জন্য এক বিরাট স্বস্তির বিষয়। আমরা তাঁকে স্বাগত জানাব।'
পাশাপাশি তিনি জানান, লন্ডনে তারেক রহমান ও বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছিল। সেখানেই নির্বাচনের রোডম্যাপ নির্ধারণ করা হয়।
কেন এই সময়টা বেছে নিলেন?
এই সময়টা বেছে নেওয়ার মূলত দু'টি কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
১. মায়ের শরীর খারাপ। খালেদা জিয়াকে অনেক চেষ্টা করেও নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না লন্ডন। তাই বাংলাদেশে ফিরছেন তারেক।
২. নির্বাচনের আগে দলের প্রস্তুতি কেমন, সেটাও দেখার চেষ্টা করছেন তিনি। সেই মতো পরবর্তী রোডম্যাপ তিনি তৈরি করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।