বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের অস্তিত্ব আগেই মুছে ফেলেছে বাংলাদেশের ইউনূস সরকার। পাঠ্যবই থেকে মিউজিয়াম, কার্যত মুছে সাফ করে দেওয়া হয়েছে। এবার ধীরে ধীরে শেখ হাসিনার অস্তিত্বও মুছে ফেলতে উদ্যত তারা। বাতিল করা হচ্ছে তাঁর নেওয়া একের পর এক পদক্ষেপ। হাসিনা আমলের আরও একটি নিয়মে বদল আনল মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশে এবার থেকে মহিলা সরকারি আধিকারিক বা কর্মকর্তাদের আর স্যর বলে সম্বোধন করা যাবে না। এই প্রথা শুরু করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। নারী-পুরুষকে সমান অধিকার, সমান সম্মান দিতেই এই নিয়ম চালু করেছিলেন হাসিনা। তবে অন্তর্বর্তী সরকার সেই সিদ্ধান্ত মেনে চলতে নারাজ। তাই রাতারাতি বাতিল করে দেওয়া হল মহিলা আধিকারিকদের স্যর বলে সম্বোধন করার নিয়ম।
বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লিখেছেন, 'শেখ হাসিনার জমানায় প্রায় ১৬ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনের সময় মহিলা আধিকারিকদেরও স্যর বলে সম্বোধন করতে হত, যা অত্যন্ত বেমানান। তাই উপদেষ্টা পরিষদ এই স্যর সম্বোধন করার নিয়ম বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'
একইসঙ্গে আওয়ামী লিগ সরকারের জারি করা অন্যান্য প্রোটোকল ও নির্দেশনাগুলিও পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা এক মাসের মধ্যে সুপারিশ জমা দেবে প্রধান উপদেষ্টার কাছে।
অন্যদিকে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ছাত্র আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন খোদ শেখ হাসিনাই, এমনটা চর্চায় এসেছে একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হওয়ার পর থেকে। জানা গিয়েছে, ওই অডিওতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে এক উচ্চপদস্থ সরকারি অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে শোনা গিয়েছে। সেই কথোপকথনের সময়েই তিনি আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালানোর অর্ডার দিয়েছেন। বিবিসিতে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট বলছে এমনটাই। যদিও সেই অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি bangla.aajtak.in. পাশাপাশি অডিওটির আদৌ কোনও ফরেনসিক পরীক্ষা হয়েছে কি না, তা-ও জানা যায়নি।