scorecardresearch
 

Sunil Ganguly Bangladesh House: ঋত্বিকের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে, এবার সুনীলের পৈত্রিক ভিটেও বেদখল বাংলাদেশে

গত মাসের মাঝামাঝি, বাংলাদেশে তখন হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে। গোটা দেশ তখন উত্তপ্ত, এই সময়ে খবর এসেছিল রাজশাহীতে ঋত্বিক ঘটকের স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। রাজশাহীর মিয়াপাড়ায় অবস্থিত ছিল ঋত্বিক ঘটকের এই বাড়িটি। এখানেই তাঁর জন্ম, বড় হওয়া। ছোটবেলা থেকে যৌবনের অনেকগুলো দিন মেঘে ঢাকা তারার পরিচালক এই বাড়িতেই কাটিয়ে ছিলেন। অগাস্টের ৬ এবং ৭ তারিখে এই বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয়। বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদলের পর ঘটে গেল আরও এক মর্মান্তিক ঘটনা। বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তী লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ি জবরদখল হয়ে গেল।

Advertisement
 বাংলাদেশে দখলদারি চলছেই বাংলাদেশে দখলদারি চলছেই

গত মাসের মাঝামাঝি, বাংলাদেশে তখন হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে। গোটা দেশ তখন উত্তপ্ত, এই সময়ে খবর এসেছিল রাজশাহীতে ঋত্বিক ঘটকের স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। রাজশাহীর মিয়াপাড়ায় অবস্থিত ছিল ঋত্বিক ঘটকের এই বাড়িটি। এখানেই তাঁর জন্ম, বড় হওয়া। ছোটবেলা থেকে যৌবনের অনেকগুলো দিন মেঘে ঢাকা তারার পরিচালক এই বাড়িতেই কাটিয়ে ছিলেন। অগাস্টের ৬ এবং ৭ তারিখে এই বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয়। বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদলের পর ঘটে গেল আরও এক মর্মান্তিক ঘটনা। বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তী লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ি জবরদখল হয়ে গেল। 

মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলায় প্রয়াত সাহিত্যিকের বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা সোহেল হাওলাদার ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। স্মৃতি বিজরিত সেই বাড়ির পাঠাগার ভেঙে তৈরি করা হয়েছে চাল রাখার গুদাম। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বই ও ব্যবহৃত নানা সরঞ্জামও নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ।

ডাসার উপজেলার কাজীবাকাই ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়ায় মৌজায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ৭ একর ১৫ শতক  পৈতৃক জমি রয়েছে। এসব জমির মধ্যে ২ একর ৯৭ শতক জমি সরকারের খাসজমি হিসেবে রেকর্ড। গত শনিবার দুপুরে লেখকের পৈতৃক ভিটার একটি টিনশেড ঘরের (সুনীল স্মৃতি পাঠাগার) তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন বিএনপি নেতা সোহেল হাওলাদার ও তার লোকজন। পরে তারা লেখকের ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি, বই, আসবাব, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসহ একাধিক ছবি ভাঙচুর করেন। এরপর তারা ওই ঘরে ওএমএসের প্রায় এক ট্রাক চাল রেখে নতুন তালা ঝুলিয়ে দেন। এছাড়া লেখকের বাড়ির সামনে জেলা প্রশাসক কর্তৃক লাগানো একটি সাইনবোর্ডও ভেঙে সরিয়ে ফেলা হয়।

আরও পড়ুন

অভিযোগ উঠেছে, সোহেল এবং তাঁর সঙ্গীরা সুনীলের ব্যবহৃত লেখার সরঞ্জাম, বই নষ্ট করে দেন। তাঁরা পাঠাগারের আসবাব, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি-সহ একাধিক ছবি ভাঙচুর করেন বলেও আরও অভিযোগ। লেখকের বাড়ির সামনে শেখ হাসিনার জমানায় জেলা প্রশাসনের লাগানো একটি সাইনবোর্ডও ভেঙে সরিয়ে ফেলা হয়।

Advertisement

লেখকের পৈতৃক ভিটা দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন স্থানীয় এক ব্যক্তিকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই ব্যক্তি সংবাদ মাধ্যমকে  বলেন, ‘সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর থেকেই সোহেল হাওলাদার লোকজন নিয়ে লেখকের জমি তাঁর নিজের বলে দাবি করেন। আওয়ামী লিগের কয়েকজন কর্মী–সমর্থক তাঁর সমালোচনা করলে তাঁদের বাড়িঘরে হামলা চালান সোহেল। এখন ভয়ে কেউ কথা বলছেন না। এই সুযোগে সোহেল তাঁর লোকজন নিয়ে এখানকার টিনশেড ঘরের তালা ভেঙে নতুন তালা ঝুলিয়ে দেন। ওই ঘরে আবার ওএমএসের চাল রাখেন। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে সবাই জানে।’ 

পাঠাগার ভাঙচুরের অভিযোগ স্বীকার করে মাদারীপুরের জেলার কালকিনির ইউএনও উত্তমকুমার দাশ জানিয়েছেন, দখলদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবিষয়ে মাদারিপুরের জেলা প্রশাসক মহম্মদ মারুফুর রশিদ খান বলেন, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পৈতৃক বাড়ির ঘরের তালা ভেঙে দখল নেওয়ার খবর পেয়েছি। ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা লেখকের বাড়ি দখলমুক্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।  এই ঘটনার নিন্দা করেছেন মাদারিপুরের সংস্কৃতিক কর্মী ও সাহিত্যপ্রেমীরা। তাঁদের দাবি, দখলদারদের শাস্তি দিতে হবে। ওই বাড়ি দখলমুক্ত করে সেটি সংস্কার ও সংরক্ষণ করতে হবে।

Advertisement