Bangladesh: নির্বাচিত জনপ্রতিনিধের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে প্রস্তুত অন্তর্বতী সরকার, জানিয়ে দিলেন ইউনূস

এবার ইউনূস নিজেই জানালেন তিনি ক্ষমতা ছাড়তে প্রস্তুত। আজ মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে ইউনূস নিজেই জানান এই কথা।

Advertisement
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে প্রস্তুত অন্তর্বতী সরকার, জানিয়ে দিলেন ইউনূস হিন্দু ছাত্র-যুবদের বৈঠকে ডাকলেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস
হাইলাইটস
  • এবার ইউনূস নিজেই জানালেন তিনি ক্ষমতা ছাড়তে প্রস্তুত
  • ফেব্রুয়ারিতে ভোট হবে, জানিয়েছেন তিনি

বাংলাদেশে ভোট কবে তা নিয়ে জল্পনা অনেকদিনের। অন্তর্বতী সরকার কতদিন দেশ পরিচালনা করবে? সেই প্রশ্ন উঠছিল। নিজের দেশেই সমালোচনার শিকার হতে হয় অন্তর্বতী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসকে। এরই মধ্যে কয়েক দিন আগেই সেই দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

আর এবার ইউনূস নিজেই জানালেন তিনি ক্ষমতা ছাড়তে প্রস্তুত। আজ মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে ইউনূস নিজেই জানান এই কথা। পরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য দেওয়া হয়। সংবাদ মাধ্যম 'প্রথম আলো' এই খবর সামনে এনেছে। 

ইউনূস জানান, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। সেজন্য তাঁদের সরকার সবরকম প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। তাঁদের সরকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত। তাঁর কথায়, 'আমরা এখন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে প্রস্তুত। এই ভোটে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করবে সরকার। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনাও হয়েছে।'

গত বছর অগাস্টে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসার পর থেকে মহম্মদ ইউনূস ক্ষমতায় রয়েছেন। তারপর এক বছর কেটে গেলেও তিনি সেভাবে ভোটে আগ্রহ দেখাননি বলে অভিযোগ। তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছিল সেখানকার আওয়ামি লিগ, বিএনপি-সহ সব রাজনৈতিক দলের। এর মধ্যেই আবার জামাতের মতো মৌলবাদী সংগঠনও ভোটে অংশগ্রহণের দাবি জানিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ভোট কীভাবে এগোয়, তার দিকে তাকিয়ে সবাই।    

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হতে পারে ৫, ৮ কিংবা ১২ ফেব্রুয়ারি। এই তিনটি তারিখকে চূড়ান্ত করে ভোটের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই তারিখগুলোর যে কোনও একটিকে বেছে নেওয়ার বিষয়ে কমিশনের বৈঠকে আলোচনা করা হবে। কমিশন চাইলে ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারিকেও বেছে নিতে পারে।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement