Tarique Rahman Return: ১৭ বছর নির্বাসনের সমাপ্তি, ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পরেই বাংলাদেশ ফিরছেন খালেদা পুত্র

সম্প্রতি লন্ডন সফরে গিয়েছিলেন  বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূস। আর এই সফরের সময়েই  বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান  তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁর।  বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে জানান হয়, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে আগামী বছরের রমজান মাসের আগে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হতে পারে বাংলাদেশে। আর এই বৈঠকের পরেই সামনে আসছে বড় খবর। দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে এবার  বাংলাদেশে ফিরতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গুলশান-২-এর অ্যাভিনিউ রোডের ১৯৬ নম্বর ডুপ্লেক্স বাড়িতে তাঁর থাকার সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। দেড় বিঘা জমির ওপর নির্মিত এই  বাড়িটি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মালিকানাধীন, যা সম্প্রতি তারেক রহমানের নামে করা হয়েছে।

বিএনপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী দেড় মাসের মধ্যেই তিনি লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছাতে পারেন খালেদা পুত্র। দলীয় নেতারা জানিয়েছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত। তিনি নিজেও স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে আগ্রহী। তার দেশে ফেরা হতে পারে যে কোনও সময়।   লন্ডন সফর শেষে সদ্য বাংলাদেশে ফেরা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীও এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানের দেশে ফিরতে কোনও বাধা নেই। তিনি যখন ইচ্ছে, তখনই দেশে ফিরতে পারেন। ’

এর আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরার সময় নিয়ে ইঙ্গিত দেন সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আশরাফ কায়সার। গত ১১ জুন এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন- ‘তিনি লন্ডন থেকে ফিরছেন ২৬ জুলাইয়ের আগেই। ’ আশরাফ কায়সারের এ পোস্টের পর বিষয়টি নিয়ে যখন আলোচনা শুরু হয়, সে সময় বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, তারেক রহমান ৫ অগাস্টের মধ্যেই বাংলাদেশে ফিরবেন। দিন চূড়ান্ত না হলেও এই তারিখের মধ্যেই যে তিনি দেশে ফিরছেন, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।   বিশেষ করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মহম্মদ ইউনূস লন্ডন সফর শেষে দেশে ফিরে আসার আগেই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘তাঁর (তারেক রহমান) তো দেশে ফিরতে কোনও অসুবিধা নেই। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক, যে কোনো সময় ইচ্ছা করলেই দেশে ফিরতে পারেন। ’ 

এদিকে বাংলাদেশে ফিরে  গুলশানের যে বাড়িতে তারেক থাকবেন সেটি এক সময় ভাড়া নিয়ে ব্যবহার করত ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ, তবে ছয় মাস আগে কোম্পানিটি তা ছেড়ে দেয়। এরপর থেকে বাড়িটি রেক রহমানের থাকার উপযোগী করে সাজানো হয়েছে।  সূত্র জানিয়েছে, বাড়ির সাজসজ্জার কাজ শেষ হয়েছে এবং এটি এখন পুরোপুরি বসবাসযোগ্য। উল্লেখ্য,  ১৯৮১ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এই বাড়িটি  দেওয়া হয়। এটি গুলশানে তার বর্তমান বাসভবন ‘ফিরোজা’র পাশেই অবস্থিত। প্রসঙ্গত এর বাইরে ঢাকা সেনানিবাসের ভেতরও আরেকটি বাড়ি খালেদা জিয়াকে দেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লিগ সরকারের সময় সেনানিবাসের ওই বাড়ির বরাদ্দ বাতিল করে খালেদা জিয়াকে সেখানে থেকে বের করে দেওয়া হয়।  বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, নির্বাচন ঘনিয়ে এলে এবং তার তারিখ সুনির্দিষ্ট হলে তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। ইতিমধ্যে তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানও লন্ডনে ফেরার আগে বাড়িটি ঘুরে দেখে গেছেন।