PHOTOS: ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার থেকে সুপারস্টার! বার্থডে বয় শাহিদ কাপুরের স্বপ্নের উড়ান

অভিনয়টা উত্তরাধিকার সূত্রেই পেয়েছিলেন। মা নীলিমা আজিম এবং বাবা পঙ্কজ কাপুরের অভিনয় নিয়ে আলাদা করে কিছউ বলার নেই। কিন্তু সফর সহজ ছিল না। নিজের রাস্তা নিজেই ধীরে ধীরে তৈরি করে এগিয়েছেন অভিনেতা শাহিদ কাপুর। আজ তাঁর জন্মদিনে আরও ফিরে দেখা সেই স্বপ্নের উড়ান। তার সঙ্গে বলা শুভ জন্মদিন শাহিদ। শাহিদের মাত্র ৩ বছর বয়সে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় পঙ্কজ-নীলিমার। ফলে ছোটবেলা খুব একটা সুখের ছিল না নায়কের। ছোট থেকেই অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা ছিল শাহিদের। খুব কম বয়সেই আয়েশা তাকিয়ার সঙ্গে কমপ্ল্যানের বিজ্ঞাপনে দেখা যায় তাঁকে। ছবি: গেটি ইমেজেস

অল্প বয়সেই বুঝে গিয়েছিলেন, অভিনয়ের জন্য নাচ শেখা অত্যন্ত প্রয়োজন। কোরিওগ্রাফার শামক ডাভরের কাছে নাচের তালিম নেওয়া শুরু করেন। তাল, দিল তো পাগল হ্যায় মতো সিনেমায় ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সারেরও কাজ করেন তিনি।

একবার বন্ধুর সঙ্গে পেপসির বিজ্ঞাপনের অডিশনে যান শাহিদ। বন্ধুর বদলে তাঁর কপালেই শিঁকে ছেড়ে। প্রথমবার নিজের আইডল শাহরুখ খানের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পান তিনি। ছবি: গেটি ইমেজেস

ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে স্ট্রাগল করার সময় পায়োনিয়ার-এর মিউজিক সিস্টেম কিনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু টাকার অভাবে কিনতে পারেননি। সুপারস্টার হওয়ার পর সেই সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হন শাহিদ। ছবি: গেটি ইমেজেস

১৯৯৮ সালে আরিয়ান ব্যান্ডের গান আঁখো মে তেরা হি চেহরা, গানে দেখা যায় শাহিদকে। গানটি যথেষ্ট হিট করে এবং ক্রমশ নজরে আসতে থাকেন শাহিদ। ইশক ভিশক ছবি দিয়ে বলিউড ডেবিউ হয় শাহিদের। সেখানে তাঁর মায়ের ভূমিকাতে অভিনয় করেন নীলিমা আজিম, যিনি শাহিদের সত্যিকারের মা।

২০০৭-এ তাঁর কেরিয়ারের অন্যতম সেরা ছবি জব উই মেট আসে। তৎকালীন প্রেমিকা করিনা কাপুর কো-স্টার ছিলেন সিনেমায়। তবে সিনেমা শেষ হওয়ার কিছু দিন পর তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। স্ক্রিনে পদবি কাপুর ব্যবহার করলেও পাসপোর্টে শাহিদ খট্টার হিসাবেই তাঁর নাম লেখা রয়েছে। তাঁর সৎ বাবা রাজেশ খট্টারের পদবি ব্যবহার করেন শাহিদ।

বিশাল ভরদ্বাজের কমিনে ছবির জন্য ১ বছর কঠোর পরিশ্রম করে পারফেক্ট বডি তৈরি করেন শাহিদ। ছবিতে তোতলার রোলে অভিনয় করার জন্য একজন ই এন টি স্পেশালিস্টের কাছে ট্রেনিংও নেন তিনি। এই সিনেমায় তাঁর চকোলেট বয় ইমেজ ভাঙেন শাহিদ। প্রথম ভারতীয় অভিনেতা হিসাবে আমেরিকার F-16 যুদ্ধবিমানে কো পাইলটের সিটে বসার সৌভাগ্য হয় তাঁর। ২০১০ সালে মিলেঙ্গে মিলেঙ্গ ছবির জন্য ধূমপান শুরু করেন শাহিদ। কিন্তু তা অভ্যেসে পরিণত হয়ে যায়। বিয়ের পর স্ত্রী মীরা রাজপুতের জন্য ধূমপান ছেড়ে দেন শাহিদ।