রাধিকা আপ্তের ছবি 'পার্চড' তার সাহসী বিষয় এবং সাহসী দৃশ্যের জন্য বিখ্যাত। লীনা যাদব পরিচালিত ছবিটি সমালোচকদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছিল। ছবিতে রাধিকা আপ্তের নগ্ন দৃশ্য বেশ আলোচনায় ছিল। অভিনেতা আদিল হুসেনকে রাধিকার সাথে এই দৃশ্যে দেখা গিয়েছিল। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাত্কারে আদিল এই চর্চিত দৃশ্য সম্পর্কে অনেক কিছু জানিয়েছেন।
ইটাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আদিল হুসেন জানিয়েছিলেন কীভাবে রাধিকা এবং তিনি সেই দৃশ্যে কাজ করেছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছিলেন যে এই দৃশ্যের শুটিংয়ের আগে রাধিকার সঙ্গে তাঁর কী আলোচনা হয়েছিল।
আদিল বলেন- 'রাধিকা নিজেকে শিল্পের মধ্যে ডুবিয়ে দিয়েছিল। লোকেদের তা বুঝতে হবে।তাঁর এবং রাধিকার মতো অভিনেতারা শুধু গুরুত্ব দেন শিল্পকে।
'আমি সেই দৃশ্যে প্রায় নগ্ন ছিলাম। এ জাতীয় দৃশ্য নিয়ে আমার কোনও সমস্যা নেই। এই জাতীয় দৃশ্যগুলি মানুষের জীবনের জটিলতাগুলি দেখানোর জন্য করা হলে আমার কোনও সমস্যা নেই।' আদিল আরও জানিয়েছিলেন যে অভিনেতার এই দৃশ্যে তাঁর স্ত্রীর কোনও আপত্তি ছিল না। তিনি আদিলের পেশাকে সম্মান করেন এবং আদিলের সংবেদনশীলতায় পূর্ণ বিশ্বাস রাখেন।
সাক্ষাৎকারে আদিল শুটিংয়ের আগে রাধিকার সাথে তাঁর যে আলোচনা হয়েছিল সেই সম্পর্কেও বলেছিলেন। আদিল জিজ্ঞেস করেছিলেন - 'তোমার প্রেমিক কী ভাববে?' রাধিকা বলেছিলেন যে তিনি বিবাহিত।
এর ঠিক পরে রাধিকা আদিলকে জিজ্ঞাসা করলেন- 'তোমার স্ত্রী কী ভাববে?'। রাধিকার প্রশ্নে আদিল অভিনেত্রীকে বলেছিলেন যে তাঁর স্ত্রীর কোনও আপত্তি নেই। সুতরাং এইভাবে উভয়ের ব্যক্তিগত সম্পর্ক এই দৃশ্যটির ক্ষেত্রে কোনও বাধা ছিল না।
এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন সেই সময়ে ছবিতে ওই দৃশ্যে অভিনয় করা তাঁর ক্ষেত্রে তখন যথেষ্ট কঠিন ছিল। তার অন্যতম কারণ, সেই সময়ে নিজের শরীর নিয়ে অবসাদে ভুগছিলেন রাধিকা। নিজের শারীরিক গঠন নিয়েও খুঁতখুঁতে ছিলেন তিনি।
রাধিকার কথায়,' বলিউডে সবসময়ই একজন নায়িকাকে নির্দেশ দেওয়া হয় সে যেন তাঁর মুখ এবং শারীরিক সৌন্দর্য্যের সবসময় খেয়াল রাখেন। মোদ্দা কথা, সৌন্দর্য্যের বিষয়েই সবসময় খেয়াল রাখতে হবে। তাই ভেবেই রেখেছিলাম এই দুটো বিষয়ে সবসময় এড়িয়ে চলবো। তবে ক্রমাগত এসব শুনতে শুনতে 'পার্চড'-এর শ্যুটিং চলাকালীন নিজের শরীর নিয়ে খুঁতখুঁতে হয়ে পড়েছিলাম। অস্বস্তি হতো। তবে পরবর্তী সময় যখন বিশ্বের বিভিন্ন ফেস্টিভ্যালে এই ছবি সমালোচকদের প্রশংসা আদায় করতে সক্ষম হয়েছিল, ভরসা পেয়েছিলাম।'