১৯৮৬ সালের ২১ জানুয়ারি পাটনা জন্ম হয়েছিল প্রয়াত বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের। আজ তিনি প্রয়াত না হলে ৩৫ বছর পূর্ণ করতেন।
দিল্লি কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোর্স চলাকালীন, সুশান্ত জনপ্রিয় কোরিওগ্রাফার শ্যামক দাবরের কাছে নাচের প্রশিক্ষণের জন্যে ভর্তি হন। এরপর তিনি থিয়েটার ডিরেক্টর ব্যারি জনের অভিনয় ক্লাসেও অংশ নেওয়া শুরু করেছিলেন।
অনেকেরই অজানা, সুশান্ত 'ধুম ২' ছবিতে 'ধুম এগেন' গানে ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার হিসাবে কাজ করেছিলেন। এছাড়াও ছিলেন ২০০৬ সালে কমনওয়েলথ গেমসের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ঐশ্বর্য রাইয়ের সঙ্গেও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
মুম্বইয়ের থিয়েটার ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার স্ম্যে,সুশান্ত অনেক জায়গায় স্বল্প বেতনে কাজ করেছিলেন জীবিকা নির্বাহের জন্যে। সেই সময়ে নাদিরা বব্বরের 'একজুটে' নাট্যদলের সঙ্গে প্রায় আড়াই বছর কাজ করেছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত।
পৃথ্বী থিয়েটারে অভিনয় করাকালীন রাজপুতকে বালাজি টেলিফিল্মের একটি কাস্টিং টিম বেঁচেছিলেন ছোট পর্দার কাজের জন্যে। পরবর্তীকালে অডিশনে নির্বাচিত হয়ে ২০০৮ সালে হিন্দি সিরিয়াল 'কিস দেশ মে হ্যায় মেরা দিল'-এ দ্বিতীয় লিড হিসাবে অভিনয় করেছিলেন।
প্রযোজক একতা কাপুরের নজরে আসে তাঁর অভিনয়, ঠিক সেই সময়ে। এরপরেই সুশান্ত সুযোগ পান 'পবিত্র রিস্তা'-তে মুখ্য চরিত্রে। যদিও চ্যানেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে প্রথমে নিতে রাজী হননি, কিন্তু একতার বিশ্বাস ছিল যে সুশান্ত পারবেন।
সুশান্ত চলচ্চিত্র নির্মাণের পড়াশোনা করতে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চেয়েছিলেন। যদিও তিনি 'রাজ ২' ছবিতে পর্দার পিছনে তিনি একজন সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ করেছিলেন।
২০১১-এ, সুশান্তকে 'কাই পো চে'-র কাস্টিং ডিরেক্টর মুকেশ ছাবড়া ডেকেছিলেন। সেই সময়ে তাঁর স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম মেকিং কোর্সে ভর্তি হওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। তবে তিনি এই প্রস্তাবটি গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পরে রাজপুত, এই ছবির জন্যে সেরা নবাগত অভিনেতার জন্যে ফিল্মফেয়ার পুরষ্কারের জন্যে মনোনীত হয়েছিলেন।