অভিনেত্রী মন্দির বেদীর স্বামী তিনি। তবে ঘটনা এখনও মানতে পারছেন না মন্দিরা। তিনি এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না রাজ নেই।
খবর পাওয়ার পর একে একে বন্ধু আত্মীয় স্বজনরা একত্রিত হন বান্দ্রার বাড়িতে। শেষকৃত্যের জন্য দেহ নিয়ে যাওয়া হয় শ্মশানে।
গত রবিবার ২৭ জুনও বন্ধুদের সঙ্গে বাড়িতে পার্টি করেছিলেন তাঁরা। সেখানেও উপস্থিত ছিলেন বলিউডের অনেক বন্ধুরা। এই খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বলিউডে।
সদাহাস্য রাজের সেই মুখ প্রতিটি ছবিতে দেখা যেতে পারে। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর ছবি চিরতরে পাল্টে যাবে তা কেউ ভাবতে পারেননি। অভিনেতা হিসাবে বলিউডে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন রাজ।
মন্দিরা এবং রাজের প্রেম কাহিনি বলিউডে বিখ্যাত। দীর্ঘ দিন ধরে রাজের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মন্দিরার।
১৯৯৬ সালে পরিচালক মুকুল আনন্দের বাড়িতে দুজনের দেখা হয়েছিল। প্রথম দর্শনেই প্রেম। তবে মন্দিরার বাড়ি থেকে তাঁর জন্য পাত্রও ঠিক করা হয়ে গিয়েছিল। তবে কোনও ভাবেই বিয়েতে রাজি করানো যায়নি মন্দিরাকে।
১৯৯৯ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেন দুজনে। তাঁদের একমাত্র ছেলে বীর। গত বছর করোনা মহামারীর আবহে একটি অনাথ মেয়েকে দত্তক নিয়েছিলেন মন্দিরা এবং রাজ। তাঁর নাম রেখেছিলেন তারা।