কুশপুতুল দাহ থেকে করনি সেনার 'চড়', বারবার বিতর্কে ভান্সালির ছবি

হিন্দি সিনেমার বিখ্যাত পরিচালক সঞ্জয় লীলা ভান্সালি ২৪ ফেব্রুয়ারি তার জন্মদিন পালন করছেন। আশ্চর্যের বিষয় হল তার বহু প্রতীক্ষিত ছবি গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি মুক্তি পাচ্ছে পরিচালকের জন্মদিনের মাত্র এক দিন পর। এই ছবিটি যদি বক্স অফিসে সুপার ডুপার হিট হয়ে যায়, তাহলে পরিচালকের জন্য এর থেকে ভালো জন্মদিনের ট্রিট আর কিছু হতে পারে না। কারণ আলিয়ার এই ছবিটি অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

প্রথমে করোনা, তারপর বিতর্ক আর কোর্টরুম... সঞ্জয় লীলা বানসালির প্রতিটি ছবির মতো গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়িও তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল। গাঙ্গুবাইয়ের পরিবারের সদস্যরা ছবিটি এবং আলিয়ার ভূমিকা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। তাই ছবিতে তাদের শহরের নাম ব্যবহারে আপত্তি জানিয়েছেন কামাঠিপুরার বাসিন্দারা। বিতর্কের ফলে কতটা লাভবান হবে ভান্সালির সিনেমা আর কতটা ক্ষতি তা মুক্তির পরই জানা যাবে। তার আগে আমরা জেনে নিই, ভান্সালির সেই সব ছবির কথা যা তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল।

পদ্মাবত
এই তালিকায় সবচেয়ে বড় ছবি পদ্মাবত। ছবির সেটে সঞ্জয় লীলা ভান্সালিকে চড় মারে করনি সেনার সদস্যরা, তা হয়তো আজও ভুলতে পারেননি তিনি। এটি ২৭ জানুয়ারী, ২০১৭-র ঘটনা। জয়পুরের জয়গড় ফোর্টে যখন ছবির শ্যুটিং চলছিল, তখন করনি সেনার লোকজন এসে ভান্সালিকে চড় মারেন। সেটে নাশকতা হয়।

করনি সেনা পদ্মাবত ছবির তীব্র বিরোধিতা করে। এমনকী দীপিকার নাক কেটে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। ভান্সালির কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। করনি সেনার অভিযোগ, ছবিতে রানি পদ্মাবতীর চরিত্রকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন ভান্সালি। ইতিহাসের তথ্য ট্যাম্পার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আলাউদ্দিন খিলজিকে মহিমান্বিত করার অভিযোগ আনা হয়। একটি রোমান্টিক স্বপ্নের সিকোয়েন্সের চিত্রগ্রহণের জন্য খিলজি এবং রানি পদ্মাবতীর মধ্যে একটি প্রতিবাদ হয়েছিল। ঘূমর গানে দীপিকার নাচ নিয়েও আপত্তি তোলে করনি সেনা।

গুজারিশ
ভান্সালির ছবি গুজারিশ নিয়েও বিতর্ক হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে ছবির গল্প চুরির অভিযোগ এনেছিলেন লেখক দয়ানন্দ রাজন। তাঁর মতে, ভান্সালি তাঁর সামার স্নো বইয়ের গল্প চুরি করেছিলেন। এ ছাড়া মৃত্যু বিষয়ক চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য বনসালির বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করা হয়। একটি পোস্টার দেখা গেছে যাতে ঐশ্বর্য রাই ধূমপান করছেন। এ নিয়ে তোলপাড়ও হয়েছিল।

গোলিও কি রাসলীলা রাম-লীলা
এই ছবির শিরোনাম নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল। আগে এর নাম ছিল রামলীলা। বহু হিন্দু সংগঠনে ছবিটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পরে সিনেমার শিরোনাম পরিবর্তন করা হয়।

বাজিরাও মস্তানি
এই ছবির বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক তথ্য বিকৃত করার অভিযোগ ওঠে। বাজিরাও পেশওয়া এবং মস্তানি বাইসাহেবের বংশধররা ভান্সালির বিরুদ্ধে ভুল তথ্য দেখানোর অভিযোগ এনেছিলেন।

গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি
বনসালির এই ছবিগুলি নিয়ে যতই তোলপাড় সৃষ্টি করা হোক না কেন, তবে একটি সত্য রয়েছে যা অস্বীকার করা যায় না। এটা হল যে বিতর্কিত হওয়ার কারণে, এই ছবিগুলি বক্স অফিসে একটি বড় আলোড়ন তৈরি করেছিল। এতে সব সমালোচকদের কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়।