Actor Satish Kaushik Passed Away: প্রয়াত বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ও সুপরিচিত পরিচালক সতীশ কৌশিক (Actor Satish Kaushik)। এ কথা জানিয়ে শোকবার্তা দেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু তথা অভিনেতা অনুপম খের (Actor Anupam Kher)। ট্যুইটে প্রিয় বন্ধুর জন্য দুঃখপ্রকাশ করে তিনি লেখেন, 'আমি জানি মৃত্যুই এই পৃথিবীর শেষ সত্য। কিন্তু আমি স্বপ্নেও ভাবিনি যে বেঁচে থাকতে আমার পরম বন্ধু সতীশ কৌশিককে নিয়ে এই কথা লিখব। ৪৫ বছরের বন্ধুত্বে এমন হঠাৎ করেই থমকে গেল। সতীশ তোমাকে ছাড়া জীবন কখনওই একরকম হবে না! ওম শান্তি।'
৬৭ বছর বয়সে পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন অভিনেতা-পরিচালক সতীশ কৌশিক। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত হবে। বন্ধু বিয়োগে ভেঙে পড়েছেন অনুপম খের।
जानता हूँ “मृत्यु ही इस दुनिया का अंतिम सच है!” पर ये बात मैं जीते जी कभी अपने जिगरी दोस्त #SatishKaushik के बारे में लिखूँगा, ये मैंने सपने में भी नहीं सोचा था।45 साल की दोस्ती पर ऐसे अचानक पूर्णविराम !! Life will NEVER be the same without you SATISH ! ओम् शांति! 💔💔💔 pic.twitter.com/WC5Yutwvqc
— Anupam Kher (@AnupamPKher) March 8, 2023
'মিস্টার ইন্ডিয়া' চলচ্চিত্র থেকে স্বীকৃতি পেয়েছেন
সতীশ কৌশিক ছিলেন একজন বিখ্যাত বলিউড অভিনেতা, কৌতুক অভিনেতা, চিত্রনাট্য লেখক, পরিচালক এবং প্রযোজক। ১৩ এপ্রিল ১৯৬৫ সালে হরিয়ানায় জন্মগ্রহণ করেন। বলিউডে পা রাখার আগে ছিলেন থিয়েটার জগতে। অভিনেতা হিসাবে, সতীশ কৌশিক ১৯৮৭ সালে মিস্টার ইন্ডিয়ার ক্যালেন্ডার থেকে স্বীকৃতি পান। এরপর ১৯৯৭ সালে 'দিওয়ানা মাস্তানা'-তে পাপ্পু পেজার চরিত্রে অভিনয় করেন। সতীশ কৌশিক ১৯৯০ সালে 'রাম লক্ষ্মণ' এবং ১৯৯৭ সালে 'সাজন চলে সাসুরাল'-এর জন্য সেরা কমেডিয়ানের ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান।
দিল্লিতে পড়াশুনা
সতীশ কৌশিক দিল্লিতে পড়াশোনা করেছেন। কিরোরি মাল কলেজ থেকে স্নাতকের পর তিনি ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা (NSD)-এ ভর্তি হন। ১৯৮৩ সালে বলিউডে অভিষেক হয় তাঁর। ১৯৮৫-তে, তিনি শশী কৌশিককে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর তাঁর জীবনে ভেঙে পড়ে দুঃখের পাহাড়। তাঁর পুত্রসন্তান ২ বছর বয়সে মারা যায়।
সতীশ কৌশিকের একটি মজার কাহিনী
কিছু দিন আগে, সতীশ কৌশিক তাঁর জীবনের একটি ঘটনা শেয়ার করেছিলেন। বলেছিলেন কীভাবে তাঁকে 'মান্ডি' ছবিতে কাস্ট করা হয়েছিল। এটি ছিল তাঁর কেরিয়ারের প্রথম দিকের ছবিগুলির মধ্যে একটি। সতীশ কৌশিক তাঁর চেহারার কারণে অনেক চিন্তিত ছিলেন। তবে শ্যাম বেনেগালের এই ক্লাসিক ছবিতে জায়গা পান। কপিল শর্মা শো-তে এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে অভিনেতা বলেছিলেন,'সেই সময় আমি কিডনি স্টোন সম্পর্কে জানতে পারি। এক্স-রে করিয়ে হাসপাতাল থেকে ফিরছিলাম। তারপর শ্যাম বেনেগাল জির ফোন পেলাম, তিনি আমার ছবি চাইলেন। আমার কাছে ছবি ছিল না এবং এটাও জানতাম যে ছবি দেখার পর কাস্টিং হবে না। আমি তাদের বলেছিলাম ফটোগ্রাফ নেই, তবে আমার কাছে এক্স-রে রিপোর্ট আছে। আমি ভিতরে ভিতরে খুব ভাল মানুষ। শ্যামজি খুব হেসেছিলেন। এতেই খুশি হয়ে ফিল্ম মান্ডিতে কাজ পেয়েছিলেন বলে দাবি করেন।