বিয়ের ২৯ বছর পর স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে বিচ্ছেদ হতে চলেছে অস্কারজয়ী সংগীতশিল্পী এ আর রহমান। রহমান এবং সায়রার আইনজীবী একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছেন, বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দম্পতি। রহমানের স্ত্রীর দাবি, এই সম্পর্কের মধ্যে নানা যন্ত্রণা সইতে হচ্ছিল। যা তাঁর পক্ষে সয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল। তাই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত।
ভেঙে গেল ২৯ বছরের সম্পর্ক
বিবৃতি অনুযায়ী, দম্পতির আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত হঠাৎ নয়। অনেকদিন ধরে চিন্তাভাবনা ও আলোচনার পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন সায়রা। এই সম্পর্ক আর টানা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সায়রা।
প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বিয়ের অনেক বছর পর সায়রা এবং এআর রহমান আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত। তাঁদের সম্পর্কের মধ্যে মানসিক চাপ তৈরি হয়েছিল। পরস্পরের প্রতি গভীর ভালবাসা সত্ত্বেও কিছুতেই মনের মিল হচ্ছিল। ব্যবধান বাড়ছিল। সেই দূরত্বের সেতুবন্ধন করতে সক্ষম হননি তাঁরা। সায়রা অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এই কঠিন সময়ে বিষয়টি যাতে ব্যক্তিগত থাকে সেই আবেদন করেছেন তিনি।
দম্পতির তিন সন্তান
এ আর রহমান এবং সায়রা ১৯৯৫ সালে বিয়ে করেন। এই দম্পতির তিনটি সন্তান- খাতিজা, রহিমা, আমিন। সংগীতশিল্পী বলেছিলেন,পাত্রী দেখেছিলেন তাঁর মা। দুজনের মধ্যে সাংস্কৃতিক পার্থক্য ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁরা সম্পর্ক ধরে রেখেছিলেন। সিমি গ্রেওয়ালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রহমান বলেছিলেন, 'সত্যি কথা বলতে আমার পাত্রী খোঁজার সময় ছিল না। আমার মনে হয়েছিল যে এটাই আমার বিয়ে করার উপযুক্ত সময়। আমার বয়স ২৯ বছর ছিল। মাকে বলেছিলাম,'আমার জন্য পাত্রী খুঁজে দাও।'
স্লামডগ মিলিওনেয়ার ছবির জন্য অস্কার জয়ী এ আর রহমানকে ভারতের অন্যতম সেরা সুরকার হিসেবে ধরনে অনেকে। মা তুঝে সালাম, ও হমদম সুনিয়ো রে, তেরে বিনা বেসওয়াদি রাতিয়াঁর মতো একাধিক হিট গান দিয়েছেন। রহমান ১৯৮৯ সালে ইসলাম গ্রহণ করেন। দিলীপ কুমার থেকে নিজের নাম পরিবর্তন করে আল্লাহ রাখা রহমান রাখেন। রহমানের স্ত্রী সায়রা বানু অভিনেতা রাশিন রহমানের আত্মীয়।