গাজিয়াবাদে মুসলমান বৃদ্ধের মারধরের ভিডিও শেয়ার করার মামলায় নতুন করে অভিযোগ দায়ের হল অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর (Swara Bhaskar), আরফা খানুম শেরওয়ানি, আসিফ খান এবং টুইটার ইন্ডিয়ার প্রধান মনীশ মহেশ্বরীর বিরুদ্ধে। দিল্লির তিলক মার্গ পুলিশ স্টেশনে আইনজীবী অমিত আচার্য এই অভিযোগ দায়ের করেছেন। দিল্লি পুলিশ যদিও এর মধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে।
এর আগে একই মামলায় Twitter Inc, Twitter Communications India, সংবাদ মাধ্যম ওয়েবসাইট The Wire, সাংবাদিক মহম্মদ জুবের এবং রানা আয়ুব, কংগ্রেস নেতা শমা মহম্মদ, সলমান নিজামি, মসকুর উসমানি এবং লেখিকা সাবা নাকভি-র বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে একজন মুসলিম বৃদ্ধকে বলতে শোনা গিয়েছে, তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছে, দাড়ি কেটে নেওয়া হয়েছে এবং গলায় ছুরি ধরে জয় শ্রীরাম বলতে বাধ্য করা হয়েছে। এই ভিডিও শেয়ার করেই আইনি জটিলতা সকলে।
FIR-এ বলা হয়েছে, শেয়ার করার আগে এঁরা ভিডিও-র সত্যতা পরীক্ষা করেন না। সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যে এগুলো শেয়ার করা হয়, যাতে দেশের শান্তি বিঘ্নিত হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হয় এবং দুই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাতে লোনি বর্ডার থানায় আরও একটি FIR দায়ের করেছেন স্থানীয় এক পুলিশকর্মী।
এর বিরুদ্ধে প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। প্রতিশোধ চরিতার্থ করতেই গাজিয়াবাদ পুলিশ সাংবাদিকদের টার্গেট করছে এবং সামগ্রিক ভাবে সমাজে ভয়ের রাজত্ব কায়মে করতে চাইছে। উত্তরপ্রদেশ সরকারকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করারও দাবি করা হয়।
অন্য দিকে গাজিয়াবাদ পুলিশের দাবি, ১৪ জুন শেয়ার হওয়া ওই ভিডিওতে কোনও সাম্প্রদায়িক অ্যাঙ্গেল নেই। আক্রান্ত ব্যক্তি আব্দুল শামাদ সইফি একটি তাবিজ বিক্রি করেছিলেন তাতে ওই যুবকরা খুশি হয়নি। ওদের বক্তব্য ছিল তাবিজ কাজ করেনি। তাই মারধর করা হয়েছে। বাজিয়াবাদের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন ঘটনায় বুধবার ১৬ জুন কালু গুর্জর, প্রবেশ গুর্জর এবং আদিল নামে তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।