KGF Chapter 2 Movie Review: আল্লু অর্জুনের পুষ্পা এবং রাজামৌলির RRR-এর পর এবার বক্স অফিস কাঁপাচ্ছে যশ (Yash) অভিনীত 'কেজিএফ: চ্যাপ্টর ২' (KGF: Chapter 2)। সাড়ে ৩ বছর অপেক্ষার পর অবশেষে রুপোলি পর্দায় এল 'কেজিএফ ২'। প্রথম দিনই এর হিন্দি ভার্সনও সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দেয়। ১৪ এপ্রিল রিলিজের পরই বাঁধ ভাঙা ভিড় হলগুলিতে।
'মসীহা' হিসেবে রকির উত্থান
প্রশান্ত নীল প্রথম অংশে চরিত্র এবং প্লট স্থাপনের একটি দুর্দান্ত চালাকির কাজ করেন। এরপর জনগণের 'মসীহা' হিসেবে রকির উত্থান হয়। সিক্যুয়েলে গল্পের দিক থেকে যথেষ্ট জোরদার। রকির স্বপ্ন পূরণ, নির্ভিক- সে কোনও কিছুকেই ভয় করে না।
সঞ্জয় দত্তের জন্যও একটি বড় মুহূর্ত দিয়ে পরিপূর্ণ
প্রশান্ত নীলের 'কেজিএফ টু' শুধু যশের জন্য নয়, সঞ্জয় দত্তের জন্যও একটি বড় মুহূর্ত দিয়ে পরিপূর্ণ। সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে প্রশান্ত একজন ভয়ঙ্কর ভিলেনকে খুঁজে নেন, যে চরিত্রে নায়কের সমানই ওজন রয়েছে।
রকির ভূমিকায় যশ এবং সঞ্জয় দত্তের মধ্যে ক্লাইম্যাক্সের লড়াই
প্রতিটি দৃশ্যই আড়ম্বরপূর্ণভাবে শ্যুট করা হয়েছে। রোমহর্ষক অভিনয় দক্ষতা দেখিয়েছেন দু'জন। তবে শেষের বাঁধনটা কোথাও যেন রাশ হারালো। শ্রীনিধি শেঠি এবং যশের ফ্ল্যাশব্যাক সিকোয়েন্স সমন্বিত কিছু সিকোয়েন্স ছবির গতি ধীর করে দেয়।
শ্রীনিধি শেঠির ভূমিকা বেশ হতাশাজনক
যশ রকি ভাইয়ের চরিত্রে এক্কেবারে সাবলীল। তিনি চরিত্রের ভূমিকায় প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছেন। একইভাবে, সঞ্জয় দত্তের অধীরা, ভাইকিংদের দ্বারা অনুপ্রাণি। তাঁর হিংসাত্মক কার্যকলাপে ভয়কে রীতিমতো আঘাত করবে। কম স্ক্রিনটাইম থাকলেও সঞ্জয়ের অভিনয় ছক্কা মেরেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে রুবিনা ট্যান্ডন-এর পারফরম্যান্স প্রশংসাযোগ্য। শ্রীনিধি শেঠির ভূমিকা বেশ হতাশাজনক বলেই মনে হয়েছে।
ছবির দ্বিতীয় দিনেই ট্রেন্ড করছে 'কেজিএফ: চ্যাপ্টার ৩', মানুষের উচ্ছ্বাস যেন বাঁধা মানছে না।