scorecardresearch
 

Baba Siddiqui: শাহরুখ-সলমনের ঝগড়া মিটিয়েছিলেন ইনি, কেন খুন NCP নেতা বাবা সিদ্দিকি? নয়া তথ্য

ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেয়েও গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হলেন এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি। শনিবার মুম্বইয়ের বান্দ্রায় তাঁকে খুন করা হয়। তিনজন আততায়ী তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। এই হামলায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেফতার করেছে, আরও একজনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।

Advertisement
শাহরুখ-সলমনের 'শত্রুতা'-র অবসানের ঘটিয়েছিলেন বাবা সিদ্দিকি শাহরুখ-সলমনের 'শত্রুতা'-র অবসানের ঘটিয়েছিলেন বাবা সিদ্দিকি

ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেয়েও গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হলেন এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি। শনিবার মুম্বইয়ের বান্দ্রায় তাঁকে খুন করা হয়। তিনজন আততায়ী তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। এই হামলায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেফতার করেছে, আরও একজনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। ঘটনার পর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। সামনেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন।

বাবা সিদ্দিকি বলিউডের দুই বড় তারকা সলমন খান এবং শাহরুখ খানের শত্রুতাকে বন্ধুত্বে রূপান্তরিত করিয়েছিলেন। ২০০৮ সালে, ক্যাটরিনা কাইফের জন্মদিনের পার্টিতে দু'জনের মধ্যে বিবাদ হয়। এর পরে সলমন- শাহরুখ দু'জনেই একে অপরের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এরপর, সলমন এবং শাহরুখ বড় ইভেন্টেও একে অপরের থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন এবং তাদের সম্পর্ক অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। 

গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরে প্রাক্তন কংগ্রেস সদস্য সিদ্দিকিকে (৬৬) লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ জানায় বান্দ্রা পূর্বের নির্মল নগরে কোলগেট গ্রাউন্ডের কাছে তাঁর অফিসের বাইরে তাঁকে আক্রমণ করা হয়। বুকে তিনটি গুলি লাগে। বাবা সিদ্দিকি বান্দ্রা (পশ্চিম) আসন থেকে তিনবার বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। বলিউডের অনেক তারকার ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন

বিজয়া দশমীর দিন বান্দ্রায় বাবা সিদ্দিকির অফিসের কাছে বাজি ফাটাচ্ছিল অনেকে। শনিবার রাত ৯.১৫ থেকে ৯.২৯- এর মধ্যে, বাবা সিদ্দিকী তাঁর ছেলের অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন। আতশবাজির বিকট শব্দের মধ্যে তিনজন তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। বাজি ফাটানোর সময় মুখে রুমাল বেঁধে থাকা তিনজন হঠাৎ গাড়ি থেকে নেমে পরপর ৬ রাউন্ড গুলি চালায়। এর মধ্যে বাবা সিদ্দিকিরও তিনটি গুলি লাগে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাবা সিদ্দিকি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

Advertisement

খুনের পিছনে কী কারণ!
হত্যার কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।  বলা হচ্ছে, স্লাম রিহ্যাবিলিটেশন অথরিটি (এসআরএ) সমস্যাটিও তাঁর হত্যার কারণ হতে পারে, তাঁর এবং তাঁর বিধায়ক পুত্র জিশান বিরোধিতা করছিলেন। ২০১৮ সালে, ইডি বাবা সিদ্দিকির ৪৬২ কোটি টাকার সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছিল।

ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল
এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে, বাবা সিদ্দিকি কংগ্রেস ছেড়ে এনসিপি (অজিত পাওয়ার দলে) যোগ দেন। ১৫ দিন আগেই তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এরপর তাঁকে ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হলেও তাঁর হত্যাকাণ্ড অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। বাবা সিদ্দিকি হত্যার পর মহারাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।

Advertisement