Paresh Rawal: 'টানা ১৫ দিন নিজের প্রস্রাব খেয়েছিলাম,' চাঞ্চল্যকর ঘটনা শেয়ার করলেন পরেশ রাওয়াল, VIDEO

ঘটনাটি ঘটে যখন তিনি মুম্বইয়ের নানাবতী ম্যাক্স সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেই সময় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন প্রবীণ স্টান্ট ডিরেক্টর এবং অভিনেতা অজয় দেবগনের বাবা, বীরু দেবগন।

Advertisement
'টানা ১৫ দিন নিজের প্রস্রাব খেয়েছিলাম,' চাঞ্চল্যকর ঘটনা শেয়ার করলেন পরেশ রাওয়াল, VIDEOপরেশ রাওয়াল -- অভিনেতা
হাইলাইটস
  • বিয়ারের মতো চুমুক দিয়ে খাব
  • টানা ১৫ দিন ধরে এই পদ্ধতি অনুসরণ করেন
  • এই ধরনের পদ্ধতির বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নিয়ে মতভেদ আছে

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা পরেশ রাওয়াল সম্প্রতি এক চমকপ্রদ অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ্যে আনলেন। চোট পাওয়ার পর সুস্থ হওয়ার জন্য তিনি নিজের প্রস্রাব পান করেছিলেন! ইন্ডিয়া টুডের সহযোগী সংস্থা 'লল্লনটপ'-এর এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজের এই অদ্ভুত অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন।

বিয়ারের মতো চুমুক দিয়ে খাব

ঘটনাটি ঘটে যখন তিনি মুম্বইয়ের নানাবতী ম্যাক্স সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেই সময় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন প্রবীণ স্টান্ট ডিরেক্টর এবং অভিনেতা অজয় দেবগনের বাবা, বীরু দেবগন। পরেশ জানান, বীরু দেবগন তাঁকে খুবই অদ্ভুত একটি পরামর্শ দেন — সকালে ওঠার পর প্রথম মূত্র খানিকটা পান করতে। তাঁর দাবি ছিল, এটি শরীরের দ্রুত আরোগ্যের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। এখানেই শেষ নয়, বীরু দেবগন আরও পরামর্শ দেন, সুস্থ হওয়ার সময় কোনও রকম মদ্যপান, মাংস খাওয়া বা ধূমপান করা একেবারে বন্ধ রাখতে হবে। পরেশ রাওয়াল বলেন, 'আমি ভাবলাম, যদি আমাকে এটা করতে হয়, তবে একবারে গিলব না, বরং বিয়ারের মতো চুমুক দিয়ে খাব। কারণ আমি চেয়েছিলাম নিয়ম মেনেই পুরো প্রক্রিয়াটি করতে।'

টানা ১৫ দিন ধরে এই পদ্ধতি অনুসরণ করেন

পরেশ রাওয়াল টানা ১৫ দিন ধরে এই পদ্ধতি অনুসরণ করেন। এর ফলও তিনি হাতেনাতে পান। তিনি বলেন, '১৫ দিনের পরে যখন আমার এক্স-রে করা হয়, ডাক্তার নিজেই অবাক হয়ে যান। তিনি বলেন, 'এমন সিমেন্টিং হল কীভাবে?' এক্স-রেতে একটা সাদা রেখা দেখা যাচ্ছিল, যা ছিল সুস্থতার লক্ষণ। যেখানে আমাকে সাধারণত ২ থেকে আড়াই মাসের মধ্যে ছাড়া হত, সেখানে আমি দেড় মাসেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাই। যেন ম্যাজিকের মতো কাজ করেছিল!'

এই ধরনের পদ্ধতির বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নিয়ে মতভেদ আছে

Advertisement

এই ঘটনার কথা জানিয়ে পরেশ রাওয়াল বুঝিয়ে দেন, কখনও কখনও প্রচলিত চিকিৎসার বাইরে গিয়ে প্রাচীন কিছু ঘরোয়া টোটকাও আশ্চর্য ফল দিতে পারে। যদিও এই ধরনের পদ্ধতির বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নিয়ে মতভেদ আছে, তবুও পরেশের এই সাহসী সিদ্ধান্ত যে তাঁর দ্রুত আরোগ্যে ভূমিকা রেখেছিল, তা তিনি নিজেই অকপটে স্বীকার করেছেন। পেশাগত দিক থেকে পরেশ রাওয়ালকে শেষ দেখা গিয়েছিল 'The Storyteller' সিনেমায়, যেখানে তিনি তারিণী বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন। সামনে তাঁর হাতে রয়েছে একাধিক সিনেমা — 'ভূত বাংলো', 'থমা' এবং বহু প্রতীক্ষিত 'হেরা ফেরি ৩'।

একজন অভিজ্ঞ অভিনেতার জীবনে এমন অপ্রত্যাশিত অভিজ্ঞতার গল্প নিঃসন্দেহে বলিউডের ভক্তদের মধ্যে কৌতূহল বাড়িয়ে দিয়েছে। নিজের জীবনের এমন অনন্য অভিজ্ঞতা অকপটে ভাগ করে নিয়ে পরেশ রাওয়াল দেখালেন, সুস্থ হওয়ার জন্য ইচ্ছাশক্তিই সবচেয়ে বড় ওষুধ।

POST A COMMENT
Advertisement