অভিনেতা সইফ আলি খানের উপর হামলার তদন্তে প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য হাতে আসছে মুম্বই পুলিশের। সইফকে হামলা করার জন্য যে ছুরিটি ব্যবহার করা হয়েছিল, তার আর একটি অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। অস্ত্রোপচারের সময় সইফ আলি খানের শরীরের ভিতরে আটকে থাকা ২.৫ ইঞ্চি লম্বা ছুরির একটি অংশ চিকিৎসকরা বের করেন। এবার ছুরির অন্য অংশটিও উদ্ধার করা হল।
সইফ আলি খানের উপর হামলায় অভিযুক্ত মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শাহজাদকে বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ বান্দ্রা লেকে নিয়ে যায়। পুলিশের সন্দেহ ছিল, সে ছুরির একটি অংশ লেকের ধারে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল। সেখানেই মিলেছে ছুরির ওই অংশ।
এদিকে,ওরলি কোলিওয়াড়ার একটি সেলুনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। ওই এলাকায় অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম দু'মাস ধরে থাকছিল। সে দাড়ি কাটার করার জন্য সেলুনেও গিয়েছিল। সেখানকার একটি স্টুডিওতে নোটিশ পাঠিয়েছে পুলিশ। স্টুডিওর ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার (ডিভিআর) বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনার ৭ ঘন্টা পর অভিযুক্ত ওই সেলুনে নিজের চুলও কাটতে দিয়েছিল। অভিযুক্তের যাওয়া-আসার ফুটেজ স্টুডিওর ডিভিআরে রয়েছে। নাপিতকেও থানায় আনা হয়েছে।
পুলিশের মতে, অভিযুক্ত ব্যক্তি বাংলাদেশি নাগরিক। সে চুরির উদ্দেশ্যে বান্দ্রায় সইফ আলি খানের বাড়িতে ঢুকেছিল। পাঁচিল টপকে ঢুকেছিল। সেই সময় নিরাপত্তারক্ষীরা গেটে ঘুমোচ্ছিলেন। মঙ্গলবার বান্দ্রায় সইফের ১২ তলার ফ্ল্যাটে সেদিনের ঘটনা পুনর্নির্মাণ করেছে মুম্বই পুলিশ।
অভিযুক্ত ব্যক্তি সাইফ আলি খানের ছোট ছেলে জেহের ঘরে ঢুকেছিল। কিন্তু এক পরিচারিকা তাকে দেখতে পেয়ে চেঁচামেচি করে। এর পর সইফ সেখানে পৌঁছন। দুপক্ষের হাতাহাতি শুরু হয়। অভিযুক্ত অভিনেতাকে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করে। সইফের মেরুদণ্ডের কাছে গুরুতর আঘাত লাগে।
হামলার পর সইফকে দ্রুত লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে ডাক্তাররা অস্ত্রোপচার করে তাঁর পিঠে আটকে থাকা ছুরির টুকরোটি বের করেন। ঘটনার ৫ দিন পর মঙ্গলবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেই অটোরিকশা চালকের সঙ্গে দেখা করেছেন সইফ। ভজন সিং রানার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। ভজন সিং রানা জানিয়েছেন, সইফ সাহায্যের জন্য তাঁকে শুধু ধন্যবাদই জানাননি, বরং আর্থিক সহায়তাও করেছেন।