Sania Malhotra: সানিয়া মালহোত্রা নিজের ফিল্মি জার্নি নিয়ে সাহিত্য আজতকের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলেছেন। আমির খানের দঙ্গল থেকে এক্ট্রেস নিজের ক্যারিয়ারের শুরু করেছিলেন। অ্যাক্ট্রেস জানিয়েছেন তিনি অ্যাক্টর হওয়ার আগে একটি স্কুলে ডান্স শেখাতেন। কিন্তু এটি তার প্ল্যান বি ছিল। কারণ তিনি ছোট থেকেই অভিনেতা হতে চাইতেন। কিন্তু কখনও কাউকে বলেননি। এর সঙ্গে সানিয়া নিজের দংগলের সফরের বিষয়েও কথা বলেন এবং বলেন যে সেই সময় অনেকে কটাক্ষ করেছেন, কারণ তিনি সেকেন্ড লিড রোল করেছিলেন।
বাবা এমব্যারেস করতেন
সানিয়া একটি নন ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছেন। এই পরিস্থিতিতে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের পরিচিতি তৈরি করার জন্য তিনি অনেক স্ট্রাগল করেছেন। এই সময় তাকে অনেক কথাও শুনতে হয়েছে। সানিয়া দঙ্গল থেকে নিয়ে জওয়ান পর্যন্ত নিজের আসন্ন ফিল্মের বিষয়েও কথা বলেন। নিজের ফিল্মি সফরের কথা বলতে গিয়ে সানিয়া বলেন যে, আমি দিল্লির বাসিন্দা, ছোটবেলায় আমার স্বপ্ন ছিল একটার হওয়ার আমি চুপচাপ এই স্বপ্ন দেখতাম। স্কুল শেষ হওয়ার পরে আমি মনে করি যে এখন আমি অভিনেতা হতে পারি। কিন্তু এরপর মা বললেন যে প্রথমে গ্র্যাজুয়েশন করো, তারপরে যা কিছু করতে পারো।এরপর মা বলেন যে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করো। আমি বলি না অনেক হয়ে গেছে আর নয়।
কিন্তু এরপরে আমার প্ল্যান একটু গড়বড় হয়ে যায়
আমি ডান্স করছিলাম ওই সময় আমার মনে হল যে এটা আমি করতে পারি। আমি মুম্বই গেছিলাম এবং কিছুদিন সেখানে থাকার পর কিছু হয়নি। তখন আমি দশ বছর আগের কথা বলছি, বাড়ি ফিরে যাই বাবাকে বলি যেটা আমার প্ল্যান বি ছিল ।আমি অভিনেত্রী হতে চাই কিন্তু এরপর আমি আমার স্বপ্ন ছেড়ে দিইনি। আমি যখন মুম্বাই গিয়েছিলাম তখন যেই অ্যাড করতাম। আমার বাবা পেনড্রাইভে সেভ করে নিতেন। ওই পেনড্রাইভ টিভিতে অ্যাটাচ করা ছিল এবং যেই ঘরে আসত বসিয়ে দেখাতেন। তিনি বলতেন আসুন আপনাকে সানিয়া টিভি দেখাচ্ছি। আমি এমব্যারেস্ড হয়ে যেতাম। এরপর তিনি দোকানে গিয়ে বলতেন যে আপনি সানিয়া মালহোত্রাকে চেনেন না?
দঙ্গল কীভাবে পেলেন?
সানিয়া বলেন যে আমার কাছে একাধিক মেথড রোল অফার আসতো। আমি বারণ করে দিতাম যে, আমার আছে বড় ফিল্ম রয়েছে। দু'বছর পর্যন্ত বিজি রয়েছি। এরপর আমি দংগলের অডিশন দিই আমি নিজের মনস্থির করে নিয়েছিলাম যে এটাই আমার রোল। এটা আমাকে পেতেই হবে তিন মাস হয়ে যাওয়ার পর কোন কল আসেনি। মাঝখানে মাঝখানে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর পাচ্ছিলাম যে কোন অভিনেত্রী গীতার রোল করছেন, ববিতার রোল করছেন। এরপর আমার মার বার্থডেতে আমি দিল্লি ফিরে আসি। তখন আমার কাছে একটি কল আসে যে আপনি শর্টলিস্টেড হয়ে গেছেন। তখন আমি বলি যে আমি আজকে নয় কালকে আসব। আমি মনে মনে এটা জানতাম যে আমি ফিল্মটা পাব আমি ববিতার রোল করব।
দঙ্গলের জন্য কটাক্ষ শুনতে হয়েছে
যখন আমি রোল পেলাম, তখন তারপর আমি প্রস্তুতি শুরু করি। রেসলিং করি, বড়রা আমাকে বলতো যে চুল কেটে দিয়েছি, অনেক সময় লাগবে বড় হতে। শুধু এক মিনিট রেসলিংয়ের রোল, ববিতার রোলও ছোট, ফাতিমার মেন ক্যারেক্টার রয়েছে। কিন্তু আমার মনে বিশ্বাস ছিল যে আমার মনে হতো যে, এই সুযোগ আমি আর ফেরত পাব না। আমার কখনও মনে হয়নি আমি টাইপ কাস্ট হয়ে যাব। আমার অ্যাক্টিং করার ইচ্ছে ছিল এবং আমি এই বড় অফার কোনোভাবেই হাতছাড়া করতে চাইনি। তবে এটাও আমি ভাবিনি যে দঙ্গল করার পর আমার জীবন বদলে যাবে। আপনি পরিশ্রম করলে তার ফল নিশ্চয়ই পাবেন, আপনি পরিশ্রম করলে ফল পাবেন।