গত ২২ এপ্রিল শেষ নিঃশ্বা ত্যাগ করেন সঙ্গীত পরিচালক শ্রবণকুমার রাঠোর। তবে মৃত্যুর কিছু দিন আছে তিনি সস্ত্রীক কুম্ভমেলায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে একাধিক ব্যক্তিকে ফোও করেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সঙ্গীত শিল্পী উদিত নারায়ণ। তিনি জানান, কুম্ভ থেকে তিনি ফোন করেছিলেন উদিতকে।
উদিত বলেন, 'শ্রবণ ভাই কুম্ভ থেকে আমায় ফোন করেছিলেন। তিনি সে সময় জানান কুম্ভে শাহি স্নান উপলক্ষে বৌদিকে নিয়ে সেখানে গিয়েছেন। তাঁকে তখন বলেছিলাম আপনি আমায় আগে বলতে পারতেন। আমিও সঙ্গে যেতাম তা হলে। তিনি ফোন রাখার পর আমি ভাবলাম এই ভয়ংকর মহামারীর সময় তিনি কেন গেলেন সেখানে? তাঁর স্বাস্থ্যে বিষয়ে আমি জানতাম। নানা রকম সমস্যা ছিল। তা সত্ত্বেও সেখানে গেলেন। পরে জেনেছি, তিনি কারও কথা শোনেননি। এক প্রকার জোর করেই কুম্ভ স্নানে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। এখন তিনি আর আমাদের মধ্যে নেই। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। বড় অসময়ে চলে গেলেন শ্রবণ ভাই।'
শ্রবণের বড় ছেলে সঞ্জীব রাঠোর, তাঁর ভাই দর্শন এবং মা বিমলা দেবী তিন জনেই করোনার সঙ্গে লড়ছেন। সঞ্জীব এবং বিমলা সেভেনহিল্স হালপাতালে ভরতি রয়েছেন। গুরুতর কোনও সমস্যা না থাকায় দর্শন বাড়িতেই আইসোলেশনে রয়েছেন। শ্রবণ মারা যআওয়ার পর দর্শন-ই বাবার শেষ কাজ সম্পন্ন করেন। সঞ্জীব বলেন, 'কিছু দিন আগে মাকে নিয়ে কুম্ভে গিয়েছিলেন বাবা। কখনও ভাবিনি এমন কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে। বাবা চলে গেলেন। আমরা তিন জনই কোভিড পজিটিভ। ভাই অ্যাসিম্পটোম্যাটিক হওয়ায় বাবার শেষ কাজ ও-ই করেছে। আমি আর মা সেভেন বিল্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমার পাশের বেডেই মা রয়েছেন। তিনি ভীষণ ভেঙে পড়েছেন। তবে আমরা সুস্থ হচ্ছি ধীরে ধীরে।'
কুম্ভ থেকে ফেরার পরই করোনার লক্ষ্মণ দেখা যায় শ্রবণের। হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। আগে থেকেই হার্ট সমস্যা ছিল। তা ছাড়া তিনি ডায়াবিটিক ছিলেন। করোনা সংক্রমণ হওয়ার ফলে শীরিক অভস্থা দ্রুত খারাপ হয়। বলিউডকে বহু হিট গান উপহার দেওয়া সঙ্গীত পরিচালক প্রয়াত হন ২২ এপ্রিল।