কথায় বলে যে আপনি যদি কিছু করার জন্য দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হোন, তাহলে তা অর্জন করতে কেউ আটকাতে পারবে না। বেভারলি জনসন এরকমই কিছু বার্তা দেন। হলিউড সুপারমডেল বেভারলি, সাঁতারে পটু। আইন নিয়ে অধ্যয়ন করলেও, তাঁর ভাগ্যে অন্য কিছু লেখা ছিল।
সাতের দশকে তিনি মডেলিং জগতে প্রবেশ করেন। সেই সময়ে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে শুধুমাত্র ফর্সা ত্বক এবং নীল চোখের মডেলদের পছন্দ করা হত। জার্নির শুরুটা বেভারলির জন্য কঠিন ছিল কিন্তু তিনি নিজের জায়গা করে নেন।
তবে অনেক ফ্যাশন ডিজাইনার তাঁকে প্রত্যাখ্যান করে অপমান করেন একটা সময়। তবে কে কী বলল, সেদিকে মনোযোগ দেননি বেভারলি। বিদ্বেষীদের ঘৃণা করার সময় তাঁর ছিল না।
তিনি তাঁর সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করেন এবং মডেলিং ইন্ডাস্ট্রিতে একটি বড় নাম হয়ে ওঠেন। এর জন্য বেভারলি কিছু পরিকল্পনা করেছিলেন। তাঁর নেটওয়ার্ক এজেন্সি পরিবর্তন করেন, তার দল পরিবর্তন করেন এবং ধীরে ধীরে সফল হতে শুরু করেন।
বেভারলির বর্তমানে ৭০ বছর বয়স। বাস্তব জীবনে তিনি বেশ গ্ল্যামারাস। ফিটনেস বজায় রাখার ক্ষেত্রে, তিনি সেরাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি ধ্যান, ক্রস প্রশিক্ষণ এবং যোগব্যায়াম দিয়ে দিন শুরু করেন। এরপরে ব্রেকফাস্টের জন্য শুধুমাত্র উষ্ণ লেমনেড এবং স্ট্রবেরি খান। দুপুর ও রাতের খাবারে মাংস এবং সেদ্ধ শাকসবজি খান। মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হলে, সব সময় দই (মিষ্টি স্বাদযুক্ত দই) খেতে পছন্দ করেন। এছাড়াও, বেভারলি একদিন চিট মিল রাখেন, সেদিন তাঁর ডায়েটে থাকে বাটার পপকর্ন।
৭০ বছর বয়সেও, বেভারলির ত্বক খুব টানটান। এর কারণ স্কিন ট্রিটমেন্ট। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নিজের ত্বক ঠিক রেখেছেন তিনি।
১৯৫২ সালের অক্টোবরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বেভারলি একাধারে একজন আমেরিকান মডেল, অভিনেত্রী, গায়ক এবং ব্যবসায়ী। আমেরিকান ম্যাগাজিন ভগের প্রচ্ছদে স্থান পাওয়া প্রথম আফ্রিকান- আমেরিকান মডেল বেকারলি। সালটা ছিল ১৯৭৪ সালে। এছাড়া তিনিই প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা, যিনি ফরাসি এলি ম্যাগাজিনের কভার পেজে স্থান পান।
বেভারলি দু'বার বিয়ে করেছেন। ১৯৭১ সালে রিয়েল এস্টেট এজেন্ট বিলি পোর্টারের সঙ্গে প্রথম বিয়ে হয় তাঁর। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৯ বছর। বিয়ের তিন বছর পর, বেভারলির সঙ্গে বিলির বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
এরপরে ২৫ বছর বয়সে, বেভারলি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন সঙ্গীত প্রযোজক ড্যানি সিমসকে। তাঁদের মেয়ের নাম রাখেন আনানসা। ড্যানি -বেভারলিও দু'বছর পরে আলাদা হয়ে যান।
বেভারলির দ্বিতীয় বিয়েও সফল হয়নি। ১৯৯৫ সাল থেকে বেভারলি পাঁচ বছর পর্যন্ত অভিনেতা ক্রিস নর্থকে ডেট করেন। পরে ক্রিসের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসা এবং জাতিগত নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন তিনি। ক্রিসের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন বেভারলি। মেয়ে আনানসার সঙ্গে খুব ভাল বন্ডিং শেয়ার করেন তিনি।