কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় আসছে নতুন ওয়েব সিরিজ 'রক্তপলাশ'। যার বিষয়বস্তু 'রাজনীতি'। ডার্ক এনার্জির ব্যানারে ক্লিক ওটিটি প্ল্যাটফর্মে স্ট্রিমিং হবে এই সিরিজ।
এই ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন শিলাজিৎ মজুমদার, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, দেবদূত ঘোষ, অনন্যা সেনগুপ্ত, উৎসব মুখোপাধ্যায়, রোজা পারমিতা দে, অসীম রায় চৌধুরী, শুভজিত কর, মৌমিতা পণ্ডিত, দিপঙ্কর, মৌসুমি দালাল, বেবী তামান্না, কোয়েল মিত্র, সুব্রত দাসগুপ্তর মতো অভিনেতারা।
সিনেমাটোগ্রাফির দায়িত্ব সামলেছেন টুবান, আবহ সঙ্গীত শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবং শিল্প নির্দেশনায় রয়েছেন তন্ময় চক্রবর্তী।
কেন সিরিজর বিষয়বস্তু হিসাবে রাজনীতিই বেছে নিলেন পরিচালক? কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ''বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক সিরিজ তৈরি করা প্রয়োজন। কারণ, আমি মনে করি নতুন প্রজন্ম এটির জন্য অপেক্ষা করছে।"
কমলেশ্বর আরও জানালেন, "সিরিজের শ্যুটিং আমাকে নতুন করে শিখতে সাহায্য করেছে। চিত্রগাহক হিসেবে টুবান এবং প্রোডাকশন ডিজাইনার হিসেবে তন্ময়, এই প্রোজেক্টটিকে সমৃদ্ধ করেছেন। যদিও শ্যুটিং খুব ব্যস্ততার মধ্যে হয়েছে, কিন্তু ইউনিটের সকলে একটি পরিবারের মতো একসঙ্গে থেকেছে। এই সিরিজটি অপেক্ষাকৃত ব্যয়বহুল। ক্লিক ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য ডার্ক এনার্জির প্রযোজনা ও সমর্থন ছাড়া এই সিরিজটি শ্যুটিং সম্ভব হত না।"
জঙ্গলমহলে অবস্থিত সুরম্য ফক্সহোল রিসোর্টে বেড়াতে আসেন সমাজের সাতজন বিশিষ্ট উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ। আর তাদের কেন্দ্র করেই আবর্তিত 'রক্তপলাশ'-র গল্প ।
সিরিজের চিত্রনাট্য অনুযায়ী, শুরুতে দেখা যায় সবাই জঙ্গলমহলে ঘুরতে ব্যস্ত। কিন্তু নৈশ আড্ডায় রিসোর্ট মালিকের প্ররোচনায়, ধীরে ধীরে তাদের অতীতের লুকনো অন্যায় ও অপরাধমূলক কাজকর্মের ইতিহাস সামনে আসে।
এরই মধ্যে জঙ্গলে নিছক ছুটি কাটাতে আসা, আপাতভাবে নিষ্পাপ মানুষগুলি হঠাৎ করেই আধাসামরিক বাহিনী ও একদল চরমপন্থীর লড়াইয়ে মাঝে পড়ে।
তখনই শহুরে মুখোশ খুলে গিয়ে তাদের আসল স্বার্থপরতা স্পষ্ট হতে থাকে। সাতজনের আভ্যন্তরীণ সাদা-কালোর দ্বন্দ্বগুলো উন্মুক্ত হতে না হতেই, তারা রিসোর্টে বন্দি হয়ে পড়েন মুক্তিপনের টোপ হিসেবে।
প্রশ্ন ওঠে একজোট হয়ে সাতজনের বাঁচার লড়াইয়ে সামিল হওয়ার। চরমপন্থীরা তাদের সময় দেয় ঘণ্টা চারেক। প্রশাসনের তরফে নিযুক্ত হন এক সরকারি মধ্যস্থতাকারী। কিন্তু সে সাত বিশিষ্টজনের অবস্থা হয় সঙ্গিন।
তাদের মধ্যে কে করলেন বিশ্বাসঘাতকতা? কী ছিল তাদের পুরনো পাপ? কেনই বা তাদের পণবন্দী হতে হল চরমপন্থীদের হাতে? বন্দিরা কি আদৌ চরমপন্থীদের হাত থেকে রেহাই পাবেন? এই সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে খুব শীঘ্রই।