কখনও কোনও গ্রিক গডেস, কখনও ভারতীয় দেবী, কখনও দেশি গার্ল কিংবা কখনও ওয়েস্টার্ন ডিভা। একদা বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্য রাইয়ের নানা রং দোলা দিয়ে যায় ছেলেদের বুকে।
তার ক্যারিজমার সঙ্গে তুলনা করা হয় স্বর্গের দেবতার অপার সৌন্দর্যের সঙ্গে। তিনি এক এবং অদ্বিতীয় ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। বচ্চন পরিবারের কূলবধূ, অভিনেতা অভিষেক বচ্চনের বেটার হাফ, মেয়ে আরাধ্যর একনিষ্ঠ মা। তা হলেও তার শরীর থেকে দৃষ্টি, মধ্য চল্লিশেও তার বিভঙ্গে ফিদা গোটা দুনিয়া।
ঐশ্বর্য-র জন্ম ১৯৭৩ সালের ১ নভেম্বর। ঐশ্বর্য অনেক অল্প বয়স থেকেই বিজ্ঞাপনে কাজ করতে শুরু করেন। তিনি যখন নবম শ্রেণিতে পড়তেন, তিনি ক্যামলিন পেন্সিলের অ্যাড-এ প্রথম কাজ করেন।
এরপর ১৯৯৩ সালে আমির খানের সঙ্গে Pepsi-র একটি অ্যাডে প্রথম লাইম লাইটে আসেন। সাধারণভাবে ইন্ডাস্ট্রিতে দেখা যায় যে, কেউ মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব জিতলেন, তিনি তারপর সিনেমাতে সুযোগ পান। তাকে প্রচুর অফার করা হয়।
কিন্তু ঐশ্বর্যের সাথে এই ঘটনা ঘটেনি। মিস ওয়ার্ল্ড হওয়ারর আগে থেকেই তাঁর কাছে কিছু সিনেমার অফার ছিল। তিনি Vogue-এর একটি ইন্টারভিউতে জানিয়েছেন, মিস ওয়ার্ল্ড হওয়ার আগে ৩-৪ টি সিনেমার অফার আগেই পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সিনেমা করতে চাননি। সে কারণেই মডেলিং শুরু করেন।
তা করতে গিয়েই মিস ইন্ডিয়া কন্টেস্টে অংশ নেন। তারপর তো ইতিহাস তৈরি করে ফেলন। যদি তিনি ৯০ সালে মিস ইন্ডিয়া পার্টিসিপেট না করতেন তাহলে তাকে প্রথম সিনেমা সেনা নামতে হতো। এই সিনেমাটি ছিল আমির-করিশমা অভিনীত রাজা হিন্দুস্তানি।
ঐশ্বর্য রাই পড়াশোনায় ভালো ছিলেন। মেডিকেল গ্রাউন্ডে নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করার ইচ্ছে ছিল। তাঁর ফেভারিট সাবজেক্ট ছিল জুলজি। কিন্তু পাকেচক্রে তিনি আর্কিটেকচার পড়াশোনা করেছেন।
তিনি দেশের নাম গোটা দুনিয়ায় উঁচু জায়গায় নিয়ে যান তাঁর সৌন্দর্য এবং বুদ্ধিমত্তা দিয়ে। গ্লোবাল কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ২০০৩ এ তিনি জুড়িতে সামিল হয়েছিলেন। তিনি প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি এ কাজের সুযোগ পান। তিনি ভারতীয় ছাড়াও বিভিন্ন বিদেশি ভাষার সিনেমাতেও সমান পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। তার বিশ্বজনীন চেহারা যে কোনও দেশের অভিনেত্রী হিসেবে তাকে সর্বজনগ্রাহ্য করে তুলেছে।