মানিকে মাগে হিথে। এই গানের অর্থ বুঝুক না বুঝুক শ্রীলঙ্কান গায়িকার গানের আবেদনে মাত গোটা বিশ্ব। প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এশিয়া ছাড়িয়ে আফ্রিকা, ইউরোপ, আমেরিকার বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে এখন তা নিয়ে চর্চা। শ্রীলঙ্কায় তিনি র্যাপ কুইন বলে পরিচিত। ভালো নাম ইওহানি ইওহানি দি সিলভা।
বাবা প্রসন্ন ডি-সিলভা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী। বাবার চাকরির সূত্রে তিনি ছোটবেলায় শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে কাটিয়েছেন। মা কাজ করতেন বিমানসেবিকা হিসেবে। শ্রীলঙ্কায় যখন গৃহযুদ্ধের সময়, একেক দিন কেটেছে উদ্যোগে বাবা ঠিকমতো ফিরে আসবে তো !
২০০৯ সালে তিনি কলম্বোতে পড়াশোনা শেষ করে ২০১২ সালে লন্ডন থেকে উচ্চ বিদ্যালয় শেষ করেন। এরপর নিজের দেশের লজিস্টিকসে স্নাতক এবং অস্ট্রেলিয়ায় একাউন্ট নিয়ে স্নাতকোত্তর পড়াশোনা করেন। গানের পাশাপাশি খেলাধুলাতেও তিনি ছিলেন বেশ পারদর্শী। স্কুলে পড়াকালীন সাঁতারে উপলক্ষে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেছেন।
২০১৭ সালে নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটি গান বের করেছিলেন। এই গানটি ওই সময়ে ভালো হিট হয়েছিল। তবে তা দেশের বাইরে সার্বজনীন হয়ে ওঠেনি। এদিকে যে গানটি নিয়ে এত তোলপাড়, সেই মানিকের পরিসংখ্যান বলছে তিন মাসের প্রায় ৯ কোটি মানুষ দেখে ফেলেছেন এর ভিডিও।
তবে গানটি প্রথম মুক্তি পেয়েছিল গত বছর জুলাই মাসে সংগীতের প্রযোজনায়। সেখানে প্রথমে ইওহানি ছিলেন না। পরে তিনি গানটি গাইতে আসেন। তারপরই তা হিট হয়ে যায়। এই গানটি কত রেভিনিউ এনে দিচ্ছে, তা জানা আছে কী ! ইউটিউব ভিডিওটি ইউটিউব থেকে কত আয় করলেন জানেন !
জুলাই মাসে তার আয় ছিল ৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। গানের প্রচার বাড়তে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে মাত্র এক মাসে তার আয় বেরে ১০ গুণেরও বেশি লাভা হয়ষ।অগাস্ট মাসের শেষে তার আয় ৫১ লক্ষ টাকায। তিন মাসের ৮৮ লক্ষ টাকার বেশি আয় হয়েছে ইউটিউব ভিডিওটি থেকে।উপরন্তু ভারতে যার হাত ধরে গান ছড়িয়ে পড়ে, তিনি যশোরাজ। যশরাজের গানটিকে পোস্ট করার পর দেড় কোটির বেশি লোকের কাছে পৌঁছে যায়।
পোষ্টের সঙ্গে সঙ্গে যাদের অকপট স্বীকারোক্তি সিংহলি ভাষায় কিছু না বুঝেও গানটি থেকে বেরোতে পারছেন না তিনি। এমনকী গানের সুরে গলা মেলাতে দেখা যায় বিগবি অমিতাভ বচ্চনকেও। এমনকি গানের অনুবাদে তিনি নাচের ভিডিও তৈরি করে দিয়েছিলেন তার নাতনি। এখনও পর্যন্ত ভিডিওটি সরাসরি ভিডিও থেকে গানের সুর অক্ষুন্ন রেখে নিজের মাতৃভাষায় গানগুলি অনুবাদ করে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই বহু দেশে ইয়োহানির সুবাস ছড়িয়ে পড়েছে।