রাজু শ্রীবাস্তব (Raju Srivastav) মাত্র ৫৮ বছর বয়সে চলে গেলেন। ওয়ার্কআউট করতে গিয়ে পড়ে যান রাজু। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার ব্রেন ডেথ আগেই হয়ে গিয়েছিল। ৪৫ দিন ভেন্টিলেটরে রাখার পর রাজুকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বিনোদন জগতে এমনটা প্রথম নয়। এর আগেও বহু তারকাদের অকাল প্রয়ান ফ্যানদের শোকের কারণ হয়েছিল। আসুন আমরা আপনাকে এমন আরও অনেক সেলিব্রিটির কথা বলি যারা হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের কারণে এই পৃথিবীকে বিদায় জানিয়েছেন।
গায়ক কে কে (KK) হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। কে কে নামে পরিচিত গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথের মৃত্যু নিয়ে অনেক সাসপেন্স তৈরি হয়েছিল। গায়ক একটি কনসার্টে ছিলেন যখন হঠাৎ তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাড়াহুড়ো করে তাঁকে রুমে নিয়ে যাওয়া হলেও তিনি ক্রমাগত ঘামছিলেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছেন তিনি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর।
অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লা (Sidharth Shukla) ছিলেন একজন ফিটনেস ফ্রিক। তিনি রোজ নিয়ম করে ফিটনেস রুটিন ফলো করতেন। তার তেমন কোনও রোগও ছিল না। রাতে ঘুমনোর সময় হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন ৪০ বছর বয়সি এই অভিনেতা। সকালে জানা যায় তার মৃত্যু হয়েছে। রাতে সিদ্ধার্থ বুকে ব্যথার অভিযোগ করলে তার মা তাকে পেইন কিলার দেন। এর পর তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু সকালে তার মৃত্যুর খবর পেয়ে সবাই হতবাক হয়ে যান।
হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান শ্রীদেবীও (Sridevi). দুবাইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুবাই গিয়েছিলেন শ্রীদেবী। সেখানে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হঠাৎ করেই তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয় এবং মৃত্যু হয়।
কন্নড় সুপারস্টার পুনীত রাজকুমারের (Puneeth Rajkumar) মৃত্যু গোটা দক্ষিণ ইন্ডাস্ট্রিকে নাড়া দিয়েছিল। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সময় পুনীতের বয়স ছিল মাত্র ৪৬ বছর। পুনীত ভক্তদের মধ্যে বেশ বিখ্যাত ছিলেন। তিনি প্রায়ই দাতব্য কাজ করতেন।
অভিনেত্রী মন্দিরা বেদির স্বামী রাজ কৌশলও (Raj Kaushal) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। রাজের বয়স ছিল তখন ৪৯ বছর। বাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন রাজ। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। রাজ পেশায় একজন পরিচালক ও প্রযোজক ছিলেন। তিনি প্যায়ার মে কভি কভি, শাদি কা লাড্ডুর মতো ছবি পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছেন।
৩ জুলাই ২০২০ সরোজ খান শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বলিউডের বিখ্যাত এই কোরিওগ্রাফার। ৭১ বছর বয়সে তিনি এই পৃথিবীকে বিদায় জানান। রিপোর্ট অনুসারে, মৃত্যুর দিন তার নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা হয়েছিল। সরোজ খানকে মুম্বইয়ের গুরু নানক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তিনি মারা যান।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন অভিনেতা অমিত মিস্ত্রি (Amit Mistry). তার বয়স ছিল ৪৭ বছর। জানা গেছে, তিনি বাড়িতে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। অমিত তার বৃদ্ধ মায়ের সঙ্গে একাই থাকতেন। তাকে শেষ দেখা গিয়েছিল অ্যামাজন প্রাইমের সিরিজ বন্দিশ ব্যানডিটস-এ।
বিখ্যাত কন্নড় চলচ্চিত্র অভিনেতা চিরঞ্জীবী সারজা (Chiranjeevi Sarja) হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। তার বয়স ছিল মাত্র ৩৯ বছর। যখন তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয় তখন তিনি বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন। সে সময় হঠাৎ ঘামতে শুরু করেন এবং অজ্ঞান হয়ে যান। এরপর তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয়।