'Divorce-এ বসতে লক্ষ্মী', স্বামী নয় Fan-দের হার্টথ্রব হয়েই থাকতে চান এই সুন্দরীরা

আমাদের সমাজে বিয়েকে একটা অত্যন্ত পবিত্র সম্পর্ক বলে মনে করা হয়। বিবাহিত জীবন সুখের হওয়ার জন্য সদাই সততা সবাই চেষ্টায় থাকেন। ডিভোর্স হয়ে গেলে তাকে এখনও বাঁকা চোখে দেখা হয়। কিন্তু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এ সমস্ত কিছু অতটা গুরুত্ব রাখে না এবং বিবাহ-বিচ্ছেদ যদি নিয়ে আসে লক্ষ্মী তাহলে কেই বা বিয়ে করতে চায়। আবার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বেশ কিছু নায়িকা রয়েছেন যাঁদের ডিভোর্সের পর ক্যারিয়ার পাল তুলেছে। পাশাপাশি তাঁরা হয়ে উঠেছেন আরও বেশি মোহময়ী ও আকর্ষণীয়। বিয়ে নামক সংস্থা থেকে টাটা-বাইবাই করে তারা সিঙ্গেল থেকেই জীবনের মজা নিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।

অভিনেত্রী রেশমি দেশাই, ভোজপুরি এবং বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিত নাম তাকে এখন আর আলাদা করে চেনানোর দরকার হয় না। গ্ল্যামারাস লুক কিংবা চটপটি কথাবার্তা সবেতেই তিনি বেশ কয়েক যোজন এগিয়ে। তিনি বিগ বস থেকে শুরু করে বিভিন্ন টিভি সিরিয়ালে নিয়মিত মুখ। পাশাপাশি ভোজপুরি, বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে যোগদান রয়েছে। তিনি নন্দিশ সান্ধুর সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন ২০১২ সালে। ২০১৪ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ২০১৫ থেকে তারা আলাদা থাকতে শুরু করেন। এরপরই রেশমির নয়নাভিরাম চেহারা মানুষের সামনে আসে। ক্যারির ছুটছে, স্তাবকও কম নয়, তাহলে বিয়ে করতে রাজি হয় কে? তাঁর বক্তব্য, এই বেশ ভাল আছি।
 

অঞ্জনা সিং ভোজপুরি টেলিভিশন এবং সিনেমার বিভিন্ন শো-তে এক পরিচিত নাম। তার পৃথুলা চেহারা, ভোজপুরি ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম আকর্ষণীয় দৃশ্য।  সোনাক্ষী সিনহা, বিদ্যা বালানদের মতো ভারী আকষর্ণীয় শরীর আর অভিনয় তাঁর ইউএসপি। বলিউডে এক অউর ফওলাদ ছবি সিনেমায় তিনি বলিউডে অভিনয় করেছেন। অঞ্জনা সিং এর ব্যক্তিগত জীবনে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গিয়েছে।

তাঁর প্রথম বিয়ে সফল হয়নি। তিনি প্রেম করে বিয়ে করেন এবং তারপর তালাক নিয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। তিনিও ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে রয়েছেন। বলিউডে পা রাখার পর থেকে তিনি আশা করছেন আরও একের পর এক সিনেমায় সুযোগ পাবেন। এই সময়ে তো বটেই, পুরনো স্মৃতি মনে পড়লে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ন্যাড়া বেলতলায় একবারই যায়।
 

আরও এক পরিচিত নাম শ্বেতা হট তিওয়ারি। রেশমির মতোই ইন্টারনেট থেকে সোশ্যাল মিডিয়া সমস্ত জায়গায় কাঁপিয়ে বেড়ান শ্বেতা। টিভিতেও তাঁর নগ্ন ছবি এক সময় বিতর্কের কেন্দ্রে ছিল। এক সময় বিখ্যাত টিভি সিরিয়ালগুলিতে তাঁর উপস্থিতি ছিল অবশ্যম্ভাবী। তার বিয়ের পর থেকেই ডুবে যেতে থাকে ক্যারিয়ার। যা ডিভোর্সের পর থেকে ক্যারিয়ারের তুঙ্গে উঠেছে।

১৯৯৮ সালে রাজা চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর পরেই তাঁকে মারধর করতে থাকে রাজা বলে অভিযোগ। এরপর বিচ্ছেদ নিয়ে রাজার পিছন ছাড়ান এবং তারপরই সে তার ঠান্ডা মস্তিষ্কে ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করেন। এরপর একের পর এক গ্ল্যামারাস লুক এবং বিতর্কিত ছবি তাঁকে ইন্টারনেট সেনসেশন করে তোলে। বিয়ের একাধিক অফার থাকলেও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, "আবার বিয়ে?সেটা নৈব নৈব চ।"
 

মারাঠি ফিল্মের পরিচিত অভিনেত্রী পাখি হেগড়ে। মারাঠির পাশাপাশি বলিউডের সিনেমায় এবং থিয়েটারে অভিনয় করেন তিনি। ভোজপুরী স্টার উমেশ হেগড়ে এর সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের পর থেকেই দুজনের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। যা পাখির কাজ এবং জীবন কোনও জায়গায় মনস্থির করতে পারছিলেন না।

ফলে তিনি সেপারেশন এর সিদ্ধান্ত নেন। আর তারপরই ম্যাজিকের মতো পাখি একের পর এক নতুন অফার পেতে শুরু করেন। মানে এমন মনে হতে শুরু হয়, তাঁর জীবন থেকে বোধহয় একটা কালো ছায়া সরে গেল। এরপর পাখির সৌন্দর্যও চর্চার কেন্দ্রে উঠে আসে। বোল্ড লুকে ফ্যানরাও তাঁকে চোখে হারাতে শুরু করেন। ফলে ক্যারিয়ারের মধ্যগগণে পাখি খাঁচায় বন্দি হতে আর রাজি নন।