একসময়ে বলিউডে নেগেটিভ চরিত্রে দাপুটে অভিনেতা ছিলেন রঞ্জিত বেদী। সিনেমা জগৎ থেকে ছুটি নিয়ে পরিবারকে সময় দিচ্ছেন তিনি। নেগেটিভ চরিত্রে তাঁর অভিনয় আজও অতুলনীয়। ধর্ষকের চরিত্রে তাঁর অভিনয় সবথেকে বেশি জনপ্রিয় হয়।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এসে মজা, ঠাট্টার মধ্যে দিয়ে জীবনের অনেক মুহূর্তই দর্শকদের সঙ্গে ভাগ করে নেন অভিনেতা। বিনোদন জগতে তাঁর কেরিয়ার নিয়ে কথা বলেন। জানান কীভাবে ৭০-এর দশকে তাঁর ধর্ষকের ভাবমূর্তি তৈরি হয়, কীভাবে মহিলাদের ফ্যাশন তাঁর কেরিয়ার শেষ করার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
স্ক্রিপ্ট না পড়েই ছবির চুক্তিতে সই করে দিতেন আত্মবিশ্বাসী রঞ্জিত। সেসময়ে কীভাবে ছবিতে চুক্তি করানো হতো তা নিয়েও জানান বরিষ্ঠ অভিনেতা। তিনি বলেন,"সেসময় নায়ককেও স্ক্রিপ্ট পড়ানো হতো না। স্ক্রিপ্ট না পড়েই ছবিতে সই করা হতো। কারণ, সকলের বিশ্বাস ছিল, পরিচালক যখন তাঁকে ভেবেছেন নিশ্চয় ভালো রোলের জন্যই ভেবেছেন।"
"আমি কখনও কারও স্ক্রিপ্টে হস্তক্ষেপ করিনি কিংবা এর প্রয়োজনও অনুভব করিনি। ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করতে আমার কোনও সমস্যাই হয়নি। তবে সমাজে আমাকে নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠতে থাকে। তবে পরিবার সবসময় পাশে ছিল। আমি কখনও ভেবেচিন্তে এই কাজে আসিনি। যখন যেভাবে ছবি পেয়েছি, করেছি।"
"ধর্ষকের চরিত্রে বহুবার অভিনয় করলেও সতীর্থরা আমার সঙ্গে কাজ করে সবসময় আনন্দ পেতেন। মজার কথা শেয়ার করে তিনি জানান,"অভিনেত্রীরা আমার সঙ্গে অভিনয় করে স্বচ্ছন্দবোধ করতেন। তবে পরিচালকরা সবসময় আমাকে ধর্ষণের যে কোনো দৃশ্যের জন্য ডাকতেন, এমনকি আমি সেই ছবির অংশ না হলেও। তাঁরা আমাকে 'ধর্ষণ বিশেষজ্ঞ' বলা শুরু করে।
"আমি সবসময় বলি মহিলাদের বদলে যাওয়া ফ্যাশনই যেন আমার কেরিয়ার শেষ করে দিয়েছে। মহিলারা ছোট পোশাক পরতে শুরু করেন, তাই তা খুলে নেওয়ারও অবকাশ ছিল না।" ঠাট্টা করে তিনি ইঙ্গিত করেন, ছবির আঙ্গিক সময়ের সঙ্গে বদলে যাওয়ায় তাঁর কাজের সংখ্যাও কমতে শুরু করে।