অস্কারের মঞ্চে অসুস্থকে স্ত্রীকে নিয়ে 'মজা' করছিলেন সঞ্চালক ক্রিস রক। সপাটে চড় মেরে এখন বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে উইল স্মিথ। তাঁকে নিয়ে উত্তাল নেটমাধ্যম। পক্ষে-বিপক্ষে মতামত রাখছেন বহু মানুষ।
নিজের কৃতকর্মে জন্য ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন হলিউডের নায়ক। তবে তাঁকে নিয়ে আলোচনা আর থামছে না। এই আলোচনাতেই এসে পড়েছে অভিনেতার সনাতনপ্রীতি।
গীতা তাঁকে টেনেছে। অর্জুনকে নিয়ে রীতিমতো পড়াশুনো করেছেন। ভারতভ্রমণে এসেছিলেন অভিনেতা হিসেবে। এ দেশে এসে তিনি উপলব্ধি করেছিলেন সনাতন ভারতকে।
আধ্যাত্মিক ভারতের আত্মার সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছিলেন উইল স্মিথ। পরে গীতা পরে অর্জুন-কৃষ্ণ কথায় জীবনের সারসত্য বুঝতে পারেন। সে কথা নিজেই জানিয়েছিলেন একটি শোয়ে।
সেই ২০১৯ সালে 'উইল স্মিথ'স বাকেট লিস্ট'-র শ্যুটিংয়ে ভারতে এসেছিলেন হলিউড তারকা। তার পর হরিদ্বারে রুদ্রাভিষেক করেছেন। গঙ্গা আরতি দেখেছেন।
ভারত-দর্শনের ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে স্মিথ লিখেছিলেন, 'আমার ঠাকুমা বলতেন, অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শিক্ষা দেন ঈশ্বর। ভারতভ্রমণে নানা রং, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং মানুষকে দেখার পর শিল্প , সনাতন সত্য এবং সর্বোপরি নিজেকে চিনতে পেরেছি।'
গীতার থেকেও রসদ নিয়েছেন স্মিথ। নিজেকে রেখেছেন অর্জুনের জায়গায়। মহাভারতের যোদ্ধা তাঁকে টেনেছে। জীবনে কঠিন পরিস্থিতি আসবে তার মোকাবিলাই শিখিয়েছে গীতা।
উইল স্মিথ বলছিলেন,'গীতা পড়ার পর অর্জুনকে নিয়ে পড়াশুনো করি। দুনিয়া শ্রেষ্ঠ ধনুর্ধর তিনি। শত্রু তাঁর পরিবার, এমনকি শিক্ষাগুরু। যুদ্ধক্ষেত্রে তাঁর উল্টোদিকে বিশাল সেনাবাহিনী। কিন্তু অর্জুনের রথের রশি ধরে রেখেছেন খোদ ঈশ্বর। অর্জুন বলছেন, নিজের লোকেদের মারার চেয়ে মৃত্যুবরণ শ্রেয়। এই যে জীবনের কঠিন পরিস্থিতি, দোলাচল।'
স্মিথ আরও বলছেন,'কঠিন পরিস্থিতিই জীবন। এ থেকে পালানোর পথ নেই। যুদ্ধ করতে হবে। ঠাকুমা বলতেন, ঈশ্বরের উপর সব ছেড়ে দাও। গীতায় অর্জুনের রথের সারথী ঈশ্বর। কিন্তু তিনি যুদ্ধ করছেন না। নিজেকেই করতে হবে।'