টোল পড়া মিষ্টি হাসি দিয়েই বিশ্বজয় করেছিলেন বং কন্যা সুস্মিতা সেন। ১৯৯৪ সালে মিস ইউনিভার্স আর তারপরে বলিউডে এন্ট্রি, অভিনয় জীবন সেভাবে সফলতা না পেলেও তাঁর ব্যক্তিগত জীবন সর্বদাই থাকত চর্চায়। বার বার জীবনে প্রেম আসলেও কোনও সম্পর্কই বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়নি। আর তাই ৪৯ বছর বয়সে এসেও সিঙ্গল সুস্মিতা সেন। আর বিয়ে করার কোনও ইচ্ছেও রয়েছে বলে মনে হয় না তাঁর। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিয়ে করা নিয়ে মুখ খুললেন এই বাঙালি কন্যা।
সুস্মিতা সেই সাক্ষাৎকারে বলেন, 'আমি সিঙ্গল, কারণ আমি জীবনে এমন কাউকে পাইনি, যার সঙ্গে আমি গোটা জীবন কাটানোর জন্য প্রস্তুত। জীবনে প্রেমের কমতি নেই। অনেক রয়েছে আর দারুণভাবে আছে। আর যদি বলেন বিয়ের সঙ্গে দায়িত্ব ও সন্তান, এই দুটোই আমার কাছে রয়েছে।' সুস্মিতা এরপর তাঁর দুই মেয়েদের নিয়ে বলেন, 'দুটো মিষ্টি মেয়ে রয়েছে, যাদের লালন পালন আমি একাই করছি আর একাই করে এসেছে। দুজনেই এখন বেশ বড়। আমার মনে হয় না আমার জীবনে কোনও কিছুর কমতি এখন রয়েছে।'
প্রসঙ্গত, সুস্মিতা সেনেল সঙ্গে বলিউডের একাধিক তারকাদের নাম জুড়েছে। এক বার নয়, দু'বার নয়, বারবার মিস ইন্ডিয়া তথা মিস ইউনিভার্স সুস্মিতা সেনের প্রেমের ফাঁদে পড়েছেন এক ডজনের বেশি পুরুষ। দিল্লিবাসী রজত তারা থেকে শুরু করে পরিচালক-প্রযোজক বিক্রম ভাট, ক্রিকেটার ওয়াসিম আক্রম, শিল্পপতি অনিল আম্বানি, অভিনেতা রণদীপ হুডা, ললিত মোদী। তবে কারোর সঙ্গেই সুস্মিতার সম্পর্ক টেকেনি। এখানেই শেষ নয়, ছোট খাটো স্বল্প মেয়াদি প্রেমেও জড়িয়েছেন সুস্মিতা। প্রাক্তন মিস ইউনিভার্সের প্রেমিকের তালিকা বেশ দীর্ঘ।
তবে বেশ সিরিয়াস সম্পর্কে সুস্মিতা জড়িয়েছিলেন ১৫ বছরের ছোট রোহমান শলের সঙ্গে। কাশ্মীরি যুবক রোহমান পেশায় মডেল। তাঁর সঙ্গেই জমিয়ে ডেট করছিলেন অভিনেত্রী। সুস্মিতা ও তাঁর দত্তক কন্যাদের সঙ্গেই থাকতেন রোহমান। এমনকি কোন্নগরে বোনের বিয়েতেও সুস্মিতা প্রেমিক নিয়েই হাজির হন। সুস্মিতা যে তাঁকে সেন পরিবারের অন্যতম সদস্য হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেছিলেন, তা বুঝিয়ে দেন। কিন্তু এই অসম প্রেম ভেঙে যায় তার পরপরই। কিন্তু এখনও সুস্মিতার সঙ্গে রোহমান রয়েছেন ছায়াসঙ্গীর মতো। রোহমান বলেন যে তিনি সুস্মিতার জীবনে এখন কেবলমাত্র ভাল বন্ধু হিসাবেই রয়েছেন। সুস্মিতার রোহমনের সঙ্গ ভাল লাগে। একই সঙ্গে রোহমন এটা স্পষ্ট করেন তিনি এখন ‘সিঙ্গল’।