Anindya Chatterjee: 'অন্নপ্রাশনের ভাত মুখে উঠে এল', শ্যুটিংয়ে যেতে গিয়ে কোন বিপদে পড়লেন অনিন্দ্য?

টেলিপাড়ায় পরিচিত মুখ অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি তাঁকে দেখা গিয়েছে কিলবিল সোসাইটিতেও। যদিও এখন অভিনেতা ব্যস্ত তাঁর সিরিয়াল নিয়ে। আর শ্যুটিংয়ের জন্য তাঁকে স্টুডিওপাড়ায় যেতেই হয়। নিজেই গাড়ি চালিয়ে কখনও ইন্দ্রপুরী স্টুডিও আবার কখনও বা ম্যাকনেইল স্টুডিওতে তাঁকে যেতে হয়। আর স্টুডিওতে যেতে গিয়ে অনিন্দ্য পড়লেন মহা বিপদে। যার কথা নিজেই তুলে ধরলেন সোশ্যাল মিডিয়া পেজে। 

সম্প্রতি শ্যুটিংয়ে যেতে গিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে অনিন্দ্য পোস্ট করেন তাঁর ফেসবুকে। অভিনেতার পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, খানা-খন্দে ভর্তি রাস্তায় জমেছে জল-কাদা। সেখান দিয়েই যাতায়াত করছে অটো, প্রাইভেট কার ইত্যাদি। আর অভিনেতা তাঁর গাড়ির কাঁচের মধ্যে থেকেই ছবি তুলেছেন এই বেহাল রাস্তার। এই ছবি পোস্ট করে অনিন্দ্য লেখেন, ভেবেছিলাম টালিগঞ্জ করুণাময়ী থেকে কবরডাঙা হয়ে জোকা অবধি গেলে শর্টকার্ট হবে। কবরডাঙা অবধি যেতেই আমার অন্নপ্রাশনের ভাত মুখে উঠে এল। উল্লেখ্য: এই রাস্তার ওপরেই কিন্তু ঠাকুরপুকুর ক্যান্সার রিসার্চ হসপিটাল। এই রাস্তা দিয়েই ম্যাকনেইল বা চিত্রায়ণের স্টুডিওতে পৌঁছানোর জন্য কবরডাঙার এই রাস্তা ব্যবহার করলে সুবিধা হয়। 

অভিনেতার শেয়ার করা ছবিতে রাস্তার এরকম অবস্থা থাকলে শ্যুটিংয়ে বা অন্য যে কোনও কাজে পৌঁছাতেও দেরি হচ্ছে। তাঁদের প্রায় নাজেহাল অবস্থা শুটিংয়ে পৌঁছাতে কবরডাঙা হয়ে এমজি রোড ধরে জোকা যেতে। অনিন্দ্য এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এই রাস্তা ধরে স্টুডিওতে দ্রুত পৌঁছে যাব এটা ভাবলেও সম্ভব নয়। বিশেষ করে বর্ষায় এই রাস্তার অবস্থা বেশ খারাপ হয়। তিনি আরও জানান, ওই রাস্তায় ঠাকুরপুকুর ক্যান্সার হাসপাতাল রয়েছে। সেখানে যাঁদের যাওয়ার থাকে, তাঁরা কতটা অসুবিধায় পড়ে। 

অনিন্দ্য ইন্দ্রুপুরীতে যেমন পরিণীতার শ্যুটিং করছেন তেমনি কবরডাঙা পেরিয়ে ম্যাকনেইল স্টুডিয়োতে তাঁকে পৌঁছাতে হয় বুলেট সরোজিনী ধারাবাহিকের শ্যুটিংয়ের জন্য। আর এই ভরা বর্ষায় এখানকার রাস্তার অবস্থা চোখে দেখা যায় না। গত বছর অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ও রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে পোস্ট করেছিলেন ফেসবুকে।