Anirban Bhattacharya SIR Hearing: SIR নিয়ে ব্যঙ্গ-গান, সেই অনির্বাণকে এবার দেখাতে হবে 'কাগজ'

যে গান গেয়ে রীতিমতো ভাইরাল হয়েছিলেন অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য, এবার সেই গানের লাইনই বাস্তবের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। সম্প্রতি মঞ্চে দাঁড়িয়ে অনির্বাণ ও তাঁর হুলিগানইজম গেয়েছিলেন, ‘কাগজ। কাগজ আমরা দেখাব। দেখাবই দেখাব। কারণ কাগজ আমাদের আছে।’

Advertisement
SIR নিয়ে ব্যঙ্গ-গান, সেই অনির্বাণকে এবার দেখাতে হবে 'কাগজ'অনির্বাণ ভট্টাচার্য
হাইলাইটস
  • যে গান গেয়ে রীতিমতো ভাইরাল হয়েছিলেন অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য, এবার সেই গানের লাইনই বাস্তবের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।

যে গান গেয়ে রীতিমতো ভাইরাল হয়েছিলেন অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য, এবার সেই গানের লাইনই বাস্তবের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। সম্প্রতি মঞ্চে দাঁড়িয়ে অনির্বাণ ও তাঁর হুলিগানইজম গেয়েছিলেন, ‘কাগজ। কাগজ আমরা দেখাব। দেখাবই দেখাব। কারণ কাগজ আমাদের আছে।’ ওই গানেই অভিনেতা বলেছিলেন, ভাই এসআইআর কী বলছে?’ সহশিল্পী বলেছিলেন, ‘ঝাড়াই বাছাই চলছে।’ এবার সেই SIR-এর ঝাড়াই বাছাই পর্বে ডাক পড়েছে অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যের। একাধিক মিডিয়া রিপোর্টের দাবি, মেদিনীপুরের ছেলে অনির্বাণকে SIR শুনানিতে ডাকা হচ্ছে। 

সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, এনুমারেশন ফর্ম ফিলাপের ক্ষেত্রে ২০০২-এর কোনও লিঙ্ক উল্লেখ করতে পারেননি অনির্বাণ। ফলে তাঁকেও ডাকা হচ্ছে শুনানিতে। জানা যাচ্ছে, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় অনির্বাণের কোনও যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি। কারণ এনুমারেশন ফর্মে তিনি ২০০২ সালের কোনও নথি দিতে পারেননি।  শুধু তিনি নন, সেই সময়কার ভোটার তালিকায় নেই তাঁর মা-বাবা, এমনকি দাদু-ঠাকুমার নামও। অথচ ২০২৫ সালের ভোটার তালিকায় অনির্বাণের মা-বাবার নাম স্পষ্টভাবে রয়েছে। যদিও এই বছরের জুলাই মাসে বাবাকে হারিয়েছেন অভিনেতা। আর এবার নথি নিয়ে সশরীরে হাজির হতে হবে অনির্বাণকে। 

১৯৮৬ সালের ৭ অক্টোবর মেদিনীপুরের শরৎপল্লির বাড়িতে জন্ম অনির্বাণের। যদি এখন মা-বোনকে নিয়ে অভিনেতার বর্তমান ঠিকানা কলকাতা। তবে মেদিনীপুর শহরের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম রয়ে গিয়েছে। দিনীপুর পৌরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ২৯৯ নম্বর বুথের ভোটার তিনি। এনুমারেশন ফর্ম ফিলাপ করেছেন। কিন্তু, ২০০২ সালের লিঙ্ক না থাকায় তাঁকে শুনানিতে ডাকা হচ্ছে। এই বিষয়ে এক সংবাদমাধ্যমকে মেদিনীপুর সদরের মহকুমাশাসক তথা ইআরও মধুমিতা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে যাদের ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় কোনও লিঙ্ক পাওয়া যায়নি, তাদের প্রত্যেকেই শুনানিতে ডাকা হচ্ছে। 

এই জটিলতার মাঝেই সামনে এল পরিবারের বক্তব্য। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অনির্বাণের জেঠু বিদ্যুৎ ভট্টাচার্য জানালেন, ২০০২ সালে তাঁর ভাই প্রদ্যুৎ ভট্টাচার্য কেন ভোটার তালিকায় নাম তোলেননি, সে বিষয়ে তাঁর কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই। দাদু-ঠাকুমা প্রয়াত হওয়ায় তাঁদের নাম সময়ের সঙ্গে তালিকা থেকে বাদ পড়েছে—এটুকুই জানা। বিদ্যুৎবাবু আরও বললেন, এলাকার তিনটি বুথে ঘুরেও তিনি ভাইয়ের নাম খুঁজে পাননি। তাঁর কথায়, সেসময়ে তো এত জটিলতা ছিল না। তবু আশ্বাস দিলেন, এবারের ভোটার তালিকায় যেন অনির্বাণ ও পরিবারের প্রত্যেকের নাম থাকে, সেই চেষ্টাই চলছে। অনির্বাণের কাছে রয়েছে পাসপোর্ট-সহ একাধিক সরকারি কাগজ। বিএলও-র সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছে। কমিশন যা চাইবে, সেটাই দেখানো হবে—পরিবারের তরফে এমনই বার্তা। অনির্বাণ নিজেও জানিয়েছেন, তাঁর নাম ভোটার তালিকায় রয়েছে। তাই শুনানিতে ডাক এলে যথাযথ নথিপত্র নিয়ে হাজির হওয়াই তাঁর স্বাভাবিক দায়িত্ব।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement