এখন সময় খুব অশান্ত। আরজি কর-কাণ্ডের পর সবাই প্রতিবাদে সরব হয়েছে। আর এরই মাঝে টলিউডেও একের পর এক যৌন হেনস্থার ঘটনা সামনে আসছে। ইতিমধ্যেই ডিরেক্টর্স গিল্ড থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে পরিচালক অরিন্দম শীলকে। তাঁর বিরুদ্ধে এক অভিনেত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার অরিন্দম শীলকে নিয়ে যখন একের পর এক মুখ খুলছেন টলিউডের একাংশ ঠিক সেই সময়ই অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে উঠেছে গুরুতর অভিযোগ। এক উঠতি অভিনেত্রী ফেসবুকে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন।
ফেসবুকে সেই অভিনেত্রী জয়জিতের বিরুদ্ধে যে পোস্ট করেন তাতে লেখা, জয়জিৎ...সবাই চেনে...মেসেজ করে লিখে সাইজ কত জানতে চায়, ধিক্কার, উই ওয়ান্ট জাস্টিস রাইট নাও। আর্টিস্ট হ্যাশট্যাগ দিয়ে ফেসবুকে এই কথা লেখেন অভিযোগকারিনী। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্ট হওয়ার পরই শোরগোল পড়ে যায়। অনেকেই জানতে চান যে কোন জয়জিতের কথা বলা হচ্ছে। তখন ওই অভিনেত্রী জানান যে অভিনেতা জয়জিৎ। এরপরই অনেকে জয়জিৎকে ওই পোস্টে ট্যাগও করেন।
তবে অভিনেতা একেবারে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। বরং জয়জিৎ জানান যে ওই অভিনেত্রী তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে মেসেঞ্জারে মেসেজ করেছিলেন। সেই স্ক্রিনশটও জয়জিৎ অভিনেত্রীর ফেসবুক পোস্টেই কমেন্ট বক্সে জানান। জয়জিৎ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের মেসেজ বক্সের স্ক্রিনশট শেয়ার করেন। যেখানে অভিনেত্রী তাঁকে, ‘হ্যালো’ লিখে পাঠিয়েছেন। আর কোনও কথোপকথন নেই। এরপরই সকলে ওই অভিনেত্রীকে বলেন যে তাঁর সঙ্গে এরকম কিছু ঘটে থাকলে তার উপযুক্ত প্রমাণ দিক তিনি। যদিও অভিনেত্রী কিছুই দিতে পারেননি।
এক সংবাদমাধ্যমকে জয়জিৎ বলেন যে ওই অভিনেত্রী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধু তালিকার মধ্যেও পড়েন না। সে এখনও কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি। হয়ত এখন একটু আলোচনায় ও লাইম লাইটে থাকতে চাইছে। যদিও জয়জিৎ বলেছেন যে তাঁর যদি মনে হয় ওই অভিনেত্রী খুব বেশি সমস্যার সৃষ্টি করছে তাহলে তিনি আইনি পদক্ষেপও করতে পারেন। প্রসঙ্গত, রবিবারও টলিপাড়ার প্রতিবাদ মিছিলে হাঁটতে দেখা যায় জয়জিৎকে। অভিনেতা প্রথমদিন থেকেই আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন।