
আগেই ঠিক ছিল যে মুখেভাতের দিনই মেয়ের মুখ সামনে আনবেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। সেই কথামতো অক্ষয় তৃতীয়ার দিন অর্থাৎ বুধবার ইস্কনে মেয়ের মুখে প্রসাদ দিয়েই সবার সামনে কাঞ্চন-শ্রীময়ী নিয়ে এলেন তাঁদের কন্যা কৃষভি মল্লিককে। লাল বেনারসীতে একরত্তির মুখ দেখে বেজায় খুশি নেটপাড়া। প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে মেয়ের মা-বাবা হয়েছেন কাঞ্চন ও শ্রীময়ী। তারপর থেকেই কৃষভিকে দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলেন সকলে। অন্নপ্রাশন করার পর তবেই কৃষভির মুখ দেখালেন তারকা দম্পতি।
বুধবার কলকাতার ইসকন মন্দিরে প্রধান ভোগ খেয়ে মুখেভাত হয় কৃষভির। বাড়িতে যদিও এদিন সকালে গায়ে হলুদ, নান্দীমুখ হয়েছে। কিন্তু কাঞ্চনদের বাড়িতে মুখেভাতের কোনও নিয়ম নেই। তাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ইসকন মন্দিরেই মেয়ের অন্নপ্রাসনের ব্যবস্থা করা হয়। খুদের পরনে টুকটুকে লাল বেনারসি জামা। মাথায় মুকুট আর লাল চেলি। সোনার গয়নায় সুসজ্জিত দেখা গেল ছোট্ট কৃ়ষভিকে। মা তাঁর মেয়ের সঙ্গে টিউনিং করে লাল বেনারসী পরেছেন আর বাবা কাঞ্চন পরেছেন সাদা ও লাল কারুকার্য করা পাঞ্জাবি।
শ্রীময়ী আগেই বলেছিলেন যে অচেনা লোকজন দেখলেই কেঁদে ফেলে কৃষভি। আর ছবিতেও দেখা গেল একরত্তির মুখ কিন্তু কাঁদো কাঁদো। কৃষভির অন্নপ্রাশনে কাঞ্চন ও শ্রীময়ীর দুই পক্ষের পরিবারের সদস্যরাই উপস্থিত ছিলেন। অন্নপ্রাশন উপলক্ষে মেয়েকে সোনার চিক উপহার দিয়েছেন কাঞ্চন। আর মা শ্রীময়ী গড়িয়ে দিয়েছেন রুপোর গয়না। প্রসঙ্গত, গত বছরের দিওয়ালির পরে পরেই কৃষভির জন্ম হয়। আর কাঞ্চন ও শ্রীময়ী দুজনেই ঈশ্বরে বিশ্বাসী, তাই মেয়ের নাম রাখেন কৃষভি। যার অর্থ কৃষ্ণ।
একরত্তিকে নিয়ে মল্লিক বাড়িতে বর্তমানে আনন্দের আবেশ। নিত্যদিন নতুন জামা পরছে সে। আর কেউ কোলে নিলেই ঠেলে উপরে উঠে যাওয়ার চেষ্টা করে। দেখতে যেমন বাবার মতো, তেমনই নাকি স্বভাবও কাঞ্চনের মতোই। শ্রীময়ীর কথায়, বড্ড ছটফটে। কিছুদিন আগেই মা-বাবার সঙ্গে শহরের এক কফিশপে গিয়েছিল কৃষভি। জন্মের পরপরই পাহাড়েও ঘুরে এসেছে সে। আপাতত মেয়েকে নিয়েই ব্যস্ত কাঞ্চন ও শ্রীময়ী। সঙ্গে সামলাচ্ছেন তাঁদের বাইরের কাজও।